আমরা

পঞ্চান্ন বছর হ’য়ে গেল বিমল গুপ্তের সেই তীব্র ব্যাঙ্গহাস্যের।’কাপুরুষ’ ছবিতে যে হাসির ব্যাখ্যায় বিমল বলেছিলেন, “বাঙ্গালী জাতটার,প্রেজেন্ট জেনেরেশনে সেই মরাল ফাইবারটাই আর নেই,অ্যান্ড দ্যাট ইজ রিফ্লেক্টেড ইন এভ্রিথিং,এভ্রিথিং দে ডু, সে ফিল্মই বলুন, পলিটিক্সই বলুন…”

ফিল্ম আর পলিটিক্স -বাঙ্গালীর প্রায়োগিক ও বৌদ্ধিক প্রয়াসের মূল কাণ্ডস্বরূপ দুটি ক্ষেত্র, যার প্রথমটির সঙ্গে শাখা প্রশাখার মত সংযুক্ত যথাক্রমে, সাহিত্য,সঙ্গীত,নৃত্য,চিত্র,নাট্য,সজ্জা,ফটোগ্রাফি,
সম্পাদনা আলোকনির্মাণ প্রভৃতি যাবতীয় কারু ও বিজ্ঞানপ্রচেষ্টা। পাশাপাশি তুমুল বাণিজ্যভাবনা।
দ্বিতীয়ক্ষেত্রে ধীশক্তি,মানবচর্চ্চা,ক্ষেত্রসমীক্ষা,শক্তিনির্মাণ এবং কূটনীতির প্রবল প্রয়োগ।

কিন্তু প্রশ্নটা হল ‘মরাল ফাইবার’এর।এই যাবতীয় ক্রিয়াকাণ্ড থেকে সত্যিই নীতিনিষ্ঠা অন্তর্হিত আজ বহুক্কাল। ১৯৬৫ তে যে রোগলক্ষ্মণ দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, ২০২০তে এসে তা বিষাক্ত ক’রে ফেলেছে সর্বশরীর। তাই, সৃষ্টিশীলতার প্রতিটি পর্বেই এক বিপুল দৈন্য আজ প্রকট।

ঠিক এই বিন্দুতে এসেই জরুরী হ’য়ে ওঠে গণমাধ্যমের ভূমিকা।যে বিপুল সংখ্যক মুদ্রন,বৈদ্যুতিন, দৃশ্যশ্রাব্য, অন্তর্জাল এবং সামাজিক মাধ্যম, আজ প্রায় ৯৬% মধ্যমেধাসুলভ সৃষ্টিশীল কাজকে অন্তঃসারশূন্য বাগাড়ম্বর দ্বারা, কারিগরি উৎকর্ষ সম্পন্ন ছবি সহযোগে প্রচার করতে থাকে, বিপণন করতে থাকে, প্রযুক্তি সহায়তায় লক্ষ,কোটি ‘লাইক’, ‘ভিউ’ টেনে আনে এবং তার দ্বারা দীর্ঘকাল যাবত মেধাচর্চ্চা রহিত আমবাঙ্গালীকে পিটুলিগোলাকেই দুধ ব’লে চিনতে শিখিয়ে তার রুচি, বোধ,বীক্ষণকে পঙ্গু ক’রে দেয় চিরতরে,
তার অবসান কোথায় আসলে?

হিন্দু পেট্রিয়টের সম্পাদক হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় কারাবরণ করেছিলেন; এসময়ের কোনো এক সম্পাদকও সাম্প্রতিককালে সে গৌরব পেলেন বটে,তবে দুটি ক্ষেত্রেই অন্তর্নিহিত কারণটুকু দেখলেই আমরা আবার সেই ‘ মরাল ফাইবার’ হারানোর সত্যতাতেই পৌঁছে যাব।হরিশ্চন্দ্রের পরবর্তীতে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু ক’রে দাদাঠাকুর, হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, দীপ্তেন সান্যাল হ’য়ে সমর সেন, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, সাগরময় ঘোষ – এঁদের প্রজন্মতেও আমরা দেখেছি সত্যনিষ্ঠ তথ্যজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাঠককে চিন্তন এবং মনন-সমৃদ্ধ ক’রে তোলার অদম্য প্রয়াস।
কিন্তু, তারপরে??.. নিজেদের জীবনের অমূল্য মূহুর্তগুলি আহুতি দিয়ে যে মহৎ উত্তরাধিকার এঁরা ছেড়ে গেলেন, যোগ্য রূপায়ণ হল কই!??
সেই লক্ষ্যেই ‘কাঞ্জিক’।
এখানে পরিবেশিত প্রতিটি উপাদানের ‘গুণ’ এবং ‘মান’, তার ধরণ,তার সত্যতা, তার তথ্যনিষ্ঠা,তার তত্ব মাহাত্ম্যই হবে শেষ কথা।
অর্থাৎ, সুদৃঢ় ভবিষ্যতের পথে পা ফেলেছি মাত্র,লক্ষ্যপুরণ করতে আমরা বারে বারেই তাকাব আমাদের পূর্বসূরিদের দিকে; শরণ নেব তাঁদের কাজ,তাঁদের সৃষ্টির।
উজ্জ্বল অতীতের সাহচর্য্যে এগিয়ে যাওয়া – বাঙ্গালীত্বের পরিচয়বাহী ‘কাঞ্জিক’ সেই লক্ষে থাকবে অবিচল,
তিনটি মন্ত্রের উচ্চারণে..

“প্রজ্ঞা,প্রতিজ্ঞা,প্রত্যয়”

প্রধান সম্পাদক – অপ্রতিরোধ্য সংকল্প

সম্পাদকীয় দপ্তর –

১০০, এভিনিউ সাউথ, সন্তোষপুর, কলকাতা – ৭০০ ০৭৫।

ই-মেল্: editor.kanjik@gmail.com

( বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের জার্নাল – Reg. No. – 190302579/2019)

ওয়েবসাইট: https://bengalvolunteers.in/

Contact Us

Editorial Department

100, Avenue South, Santoshpur, Kolkata – 700 075.

Email: editor.kanjik@gmail.com

(Journal of Bengal Volunteers – Reg. No. – 190302579/2019)

Website : https://bengalvolunteers.in/