আঙিনা

দেশ – ১৭

পুঁথি - পরিচয়

‘নিঃশব্দ সন্ত্রাস’ –

আঙিনা সংস্কৃতি

মহাকালের কৃষ্ণগহ্বর

বসুধা সাদাকালো রঙমাখা

মুদ্রায় সভ্যতা: শেষ পর্যন্ত যাঁদের কাছে হার মানল ঔপনিবেশিক শক্তি

আঙিনা

লৌকিক বাংলার লুপ্ত প্রবাদ –

সংস্কৃতি

‘তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী’ – নীলিমা সেন

অতীত যা লেখেনি রাজনীতি

বাংলায় বর্গি সন্ত্রাসের অজানা ইতিহাস –

রাজনীতি সাদাকালো রঙমাখা

২০শে জুনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস – মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

আঙিনা

দেশ – ১৬

বিজ্ঞান

বিজ্ঞানশিক্ষা –

Recent Post

এক নজরে

সাম্প্রতিক হিজাব ও কিঞ্চিৎ তলিয়ে দেখা –

– যাজ্ঞসেনী যশস্বীনী   সত্যজিৎ রায় থাকলে হয়তো বলতেন, যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে নয়, বরং কর্নাটকে। স্কুল, কলেজে হিজাব পরার রাইট নিয়ে সিলিকন ভ্যালিতে তুলকালাম এখনও অব্যাহত। হিজাব পরতে না পেরে মেয়েরা স্লোগান তুলেছে, পহলে হিজাব, ফির কিতাব। অর্থাৎ লেখাপড়া চুলোর দোরে গেলে ক্ষতি নেই, হিজাব পরতে দিতেই হবে

সম্পাদকীয়

“ভাবের ললিত ক্রোড়ে না রাখি নিলীন

কর্ম্মক্ষেত্রে করি দাও সক্ষম স্বাধীন।”….

বৈরাগ্য ও রাষ্ট্রনীতির কূট ব্যবহার হয় না একাসনে আসীন।  তবুও, তারই মেলবন্ধনের প্রচেষ্টা হয়েছে বারংবার; পতন ও মূর্ছা তার একমাত্র সত্য। যে কৌটিল্য নীতিসমূহকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে ভারতবর্ষ হতে অপসারিত করা হয়েছিল বৌদ্ধ সংঘগুলির প্ররোচনায় ও স্থাপিত হল এক অতিমানবিক, অকল্পনীয় ভাবাদর্শ যা জনসমাজের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হল ব্যর্থ এবং আলস্যতন্ত্র ও পরশ্রীকাতরতায় নিমজ্জিত হল সমাজ। যা বাকি ছিল তাও ভুলুন্ঠিত হল ‘অহিংসা পরমো ধর্মঃ’ – মতবাদের অস্বাভাবিকতা ও প্রতিষ্ঠায়।  ‘অশ্বমেধ’ ও ‘রাজসূয়’ বিলুপ্ত হয়ে সনাতনী হিন্দু যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হল তা হতে উত্তোরণের সূর্যকিরণ দৃষ্ট হয় নি এখনও। এবং এইসকলের মধ্যে ভাবপ্রবণতায় বঙ্গদেশ অতিশয় দুর্ব্বল ও অকর্মণ্য। এইই বাঙ্গালীর শতাব্দীব্যাপী পরাজয়ের মূল কারণ।  চাণক্যনীতির চর্চ্চার অনুপস্থিতির প্রভাবে তুর্কির বেশে নব সাম্রাজ্যবাদী নৃশংসতার রূপ অনুধাবন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল যে হিন্দু পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যেই তারই ধারাবাহিকতা চলেছে বর্তমানে একাদিক্রমে। ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে হিন্দু সভ্যতা; বিনষ্ট হচ্ছে তার সৃষ্টি ও কৃষ্টি এবং জয়ীরূপে প্রতিভাত হচ্ছে আব্রাহামিক দৃষ্টিভঙ্গী।  ক্রমবর্দ্ধমান নারীর নির্লজ্জতা ও পুরুষের পৌরুষহীনতা তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। প্রতিবিধানের প্রয়োজন অতএব এবং অবিলম্বে।  ক্ষণিকের সহিষ্ণুতা বৃহত্তর বিনাশ সৃষ্টি করবে। প্রতিকার অবশ্যম্ভাবী কিন্তু তা আর কোনমতেই ভারতীয় সমাজপদ্ধতি অনুসারেকোমলে কঠোরে , রুদ্রে কারুণ্যে, চপলে গম্ভীরে নয়।

প্রয়োজন আজ – রুদ্রের। বীরভদ্রের প্রলয়ংকর রূপের যা সৃষ্টি করবে ত্রাসের।…..এবং এই ন্যায়পরায়ণ ত্রাস চূর্ণ-বিচূর্ণ করবে সকল বিনাশকারী, ধর্মদ্বেষী শক্তিকে। আহ্বান রইল শিষ্যের প্রতি যে নির্ভীকচিত্তে শিক্ষাপ্রাঙ্গণে আবির্ভূত হয়ে বলবে –

“….দাও হস্তে তুলি নিজ হাতে তোমার অমোঘ শরগুলি,

তোমার অক্ষয় তূণ। অস্ত্রে দীক্ষা দেহ রণগুরু।….”