Recent Post

এক নজরে

গ্রন্থ আলোচনা – ‘উনিশ শতকে বাংলার জাতীয়তাবাদ: রাজা রামমোহন থেকে শ্রী অরবিন্দ’

গ্রন্থের লেখক: অধ্যাপক গৌতম মুখোপাধ্যায় -  গত ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে পূর্ণ প্রতিমা, কলকাতা থেকে প্রকাশিত অধ্যাপক গৌতম মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'উনিশ শতকে বাংলার জাতীয়তাবাদ : রাজা রামমোহন থেকে শ্রীঅরবিন্দ' গ্রন্থতে জাতীয়তাবাদী ইতিহাস চর্চায় একটি ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতে

সম্পাদকীয়

নিষ্কাম সাধনা কি আদৌ সম্ভব? এ নিয়ে তর্ক চলছে অন্তহীন ও অনন্ত কাল ধরে। কিন্তু সাধনার যদি স্থির লক্ষ্য থাকে ও তা ভেদের জন্য থাকে অনমনীয় দৃঢ়তা তাহলে সাফল্য সম্ভব। এই অসামান্য মানসিক সামর্থ্য সম্মুখের সকল বাধাকে হেলায় সরিয়ে, পরাস্ত করে ধ্যেয় প্রকৃষ্ট করে, মার্গ স্বয়ং প্রশস্ত হয়। ভারতীয় ভূখণ্ডে এও ধর্মের এক পরিচয়। যা বিনা শাস্ত্রে বর্ণিত ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ পুরুষার্থ হয়ে পড়ে অচল। সেই দৃঢ়তা আজ আর নেই কেন? মহাত্মনদের মতানুযায়ী, তার জন্য সচ্চরিত্রের প্রয়োজন এবং তার মূল অবশ্যই এক ক্লান্তিহীন চর্চ্চা। বর্তমানে, চরিত্রের অভাব এক রূঢ় সত্য। অর্থাৎ তা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় চর্চ্চার অনুপস্থিতিই সকল সমস্যার মুলে। কি করে তার পুনরুদ্ধার করা যায়? শুধুমাত্র পূজা পাঠ, উপোসেই তা সম্ভব এই প্রকার বাণী ধর্ম্মশাস্ত্রেও অনুপস্থিত। সেখানে রয়েছে কর্ম পালনেরই উপদেশ ও নির্দেশ। তাই কর্মদ্যোগী হওয়াই একমাত্র পথ। “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা”-য় শ্রীকৃষ্ণও এই শব্দটিই উচ্চারণ করেছেন বারংবার। এবং কর্মের স্পৃহা গড়ে ওঠে পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডলের প্রভাবেই। আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আপনার উপরেই। পলায়নী প্রবৃত্তির লেশমাত্র থাকলেই তা সন্তানের শিশু মস্তিষ্কে এক অনির্বচনীয় প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমানে যৌনতার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণ, প্রাচীন পিতা-মাতাকে অবহেলা করা, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনে সদা উৎসাহ পারিপার্শ্বিক নেতিবাচক পরিমণ্ডলেরই ফল যা ধ্বংসের আগাম লক্ষণ মাত্র। সন্তানকে ব্রাহ্মণের জ্ঞান ও পান্ডিত্য, ক্ষত্রিয়ের পরাক্রম, বৈশ্যের সম্প্রসারণ ও শূদ্রের ঐকান্তিক শ্রমের মাধ্যমেই গড়ে তুলুন। এবং তাইই এক সার্থক পরম্পরায় পরিণত করুন। ধর্ম্ম, দেশ ও ভবিতব্য রক্ষা পাবে।