পুঁথি - পরিচয়

‘নিঃশব্দ সন্ত্রাস’ –

আঙিনা সংস্কৃতি

মহাকালের কৃষ্ণগহ্বর

বসুধা সাদাকালো রঙমাখা

মুদ্রায় সভ্যতা: শেষ পর্যন্ত যাঁদের কাছে হার মানল ঔপনিবেশিক শক্তি

আঙিনা

লৌকিক বাংলার লুপ্ত প্রবাদ –

সংস্কৃতি

‘তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী’ – নীলিমা সেন

অতীত যা লেখেনি রাজনীতি

বাংলায় বর্গি সন্ত্রাসের অজানা ইতিহাস –

রাজনীতি সাদাকালো রঙমাখা

২০শে জুনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস – মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

আঙিনা

দেশ – ১৬

বিজ্ঞান

বিজ্ঞানশিক্ষা –

English Enclave

Muslim Opposition to Secular, Integration Nature, Causes and Remedies

Recent Post

এক নজরে

Know-how of WAQF Board

If there is any quiz competition to determine the institution in India with the highest number of increasing properties, the answer would be very simple – WAQF Board. In accordance with latest estimation based on Sachar Committee Report, across India there is no less than 4.9 lakh registered WAQF pr

সম্পাদকীয়

“ওরা বীর, ওরা আকাশে জাগাত ঝড়,/ওদের কাহিনী বিদেশীর খুনে/গুলি, বন্দুক, বোমার আগুনে/আজো রোমাঞ্চকর”………অগ্নিযুগের বাঙ্গালী সশস্ত্র বিপ্লবীদের পরাক্রম ব্রিটিশকে করিল আতঙ্কিত, ভারতবর্ষে তাঁহাদের করিল প্রণম্য কিন্তু অবশিষ্ট বাঙ্গালী শিখিলো কি? শুধুমাত্র শুষ্ক প্রণামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইলো সে।…গার্হস্থ্যে যে অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া সত্য, অত্যাচারের বিরুদ্ধাচরণ সত্য, প্রতিবিধান সত্য ও তাহার প্রয়োজনে শক্তিই একমাত্র উপাস্য এহেন ঋষিবাক্য কি আপামর বাঙ্গালীকে স্পর্শ করিতে ব্যর্থ হইল? তাহার অনুপস্থিতিতেই কি বাঙ্গালী প্রায় বিনা শ্রমে পারমার্থিক কৃপাপ্রাপ্ত হইয়া নীরবে স্বর্গপ্রাপ্তি ও গুরুর সদা আকাঙ্খিত আশীর্বাদ লাভের মধ্য দিয়া জাগতিক সুখলাভে ইচ্ছুক হইল? বাঙ্গালীর সামরিক মনীষা নাই, সত্য। ইহার চর্চ্চায় যে চরিত্রগুণের প্রয়োজন তাহাও বাঙ্গালীর নাই। কেন নাই? ধর্মশাস্ত্রে যাহাতে বারণ নাই ও  আবশ্যিক কর্তব্য বলিয়া উল্লিখিত তাহা লব্ধ করিতে অনীহা কিসের? এই অনীহাই নীচ স্বার্থবুদ্ধি যাহা দ্বারা প্রভাবিত হইয়া সে আপন কর্তব্যচ্যুত এবং শত সহস্র মন্ত্রোচ্চারণেও আপন কক্ষ হতে ধর্মচ্যুত ব্যক্তির স্বর্গপ্রাপ্তি হয় না। সম্ভবত এই অমোঘ ঋষিবাক্য বাঙ্গালীর কর্ণে প্রবেশ করে নাই কখনও। তাই নিষ্ফল, লক্ষ্যহীন গুরুবাদে যে বাঙ্গালীর পারমার্থিক কৃপাপ্রাপ্তি দূরে থাক, অস্তিত্বজনিত সঙ্কটও দূরীভূত হইবে না, তাহা বলাই বাহুল্য।

সংবাদসূত্রে প্রকাশ, রক্তস্নাত মণিপুরে এইবার আক্রমণের লক্ষ্য হইল বাঙ্গালীরা এবং অপর একটি বিপর্যয়ের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে। ইতিমধ্যে,প্রাক-দুর্গোৎসবের বিগ্রহ বিনষ্ট করার কাল শুরু হইয়াছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে। ফরিদপুর জেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা বাজার অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে এই ঘটনাটি ঘটিয়াছে। স্বভাবতই,, দুষ্কৃতীরা অধরা এখনও এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা ও স্নেহচ্ছায়ায়, তাহারা পলাতকই থাকিবে ইহাও স্বতঃসিদ্ধ বলা যায়।  এপার হইতে ওপারের সর্বনাশ নিশ্চেষ্টভাবে দেখিলে বৈশ্বানরের তান্ডবের আঁচ পরিশেষে  আপন দেহেই আসিয়া পড়ে. ইহা এক প্রাচীন সত্য। সম্ভবত, ছদ্ম অধ্যাত্মবাদের কল্যাণে বাঙ্গালীর এই প্রাচীন শিক্ষা বা বাস্তববুদ্ধিও লোপ পাইয়াছে।