শাশ্বত সনাতন

কিন্নৌর কৈলাশ॥ এক অধুরী কাহানী – ভ্রমণ কাহিনী – ৭

আমার ইতিহাস

কোড়কদী – ৮

বসুধা

মাদাগাস্কারের ব্যাঙ্কনোট ও গোরস্থানের বৃষকাষ্ঠ –

আঙিনা

লৌকিক বাংলার লুপ্ত প্রবাদ –

English Enclave সংস্কৃতি

Gaudi Prakrita: The Classic Progenitor of Bengali Linguistic Heritage

শাশ্বত সনাতন

কিন্নৌর কৈলাশ॥ এক অধুরী কাহানী – ভ্রমণ কাহিনী – ৬

আমার ইতিহাস

কোড়কদী – ৭

আঙিনা

লৌকিক বাংলার লুপ্ত প্রবাদ –

আমার ইতিহাস স্বভূমি ও সমকাল

বজ্র যায়নি ক্ষয়ে

আমার ইতিহাস বসুধা স্বভূমি ও সমকাল

সারনাথ অশোকস্তম্ভশীর্ষ ও ভারতের মুদ্রা

Recent Post

এক নজরে

Atheism’s sole job is to denigrate Hinduism

If we go by the dictionary, the word ‘atheism’ defines a dearth of belief or faith in the existence of Gods or Divinity but in India it’s akin to harangues against Hinduism. Since it’s known for ages that Hindus are tolerant and even let its detractors condemn Dharma severely, no stone is left untur

সম্পাদকীয়ঃ

যদিচ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স ও তার মুখপত্র ‘কাঞ্জিক’ ভারতবর্ষের প্রত্যক্ষ দলীয় রাজনীতির সাথে চিরতরে বিযুক্ত থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার নিজস্ব আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বিচারধারা একান্তভাবেই রাজনৈতিক। তার একটিই কারণ – বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স অকুণ্ঠচিত্তে বাঙ্গালী হিন্দুর স্বার্থ, স্বাত্যন্ত্রতার প্রতিনিধি। তাই, সমস্ত পথ বিবেচনা করে তার আপন স্বার্থে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যাগমনকেই শ্রেয় রূপে গ্রহণ করে। কিন্তু  প্রশ্নাতীত রূপে নয়। ….অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর পাওয়া যায়নি ভারতের জাতীয় রাজনীতি হতে বিগত এক দশকে। শুধুমাত্র প্রত্যাগমনেই প্রত্যাশিত সমাধান প্রাপ্তি হয় না। তাই প্রশ্নের আশু উত্তর প্রয়োজন রয়েছে।

যদি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হন তবে কি পূর্বের মতোই এইবারও ব্যক্তিকেন্দ্রিক উচ্ছাস অব্যাহত থাকবে না প্রকৃষ্ট নীতিসমূহ ও তার কার্যকর করার প্রচেষ্টা তার স্থলাভিষিক্ত হবে? ব্যক্তির পরিবর্তে নীতি ও বিচারধারাতেই উৎসাহী আমরা; ব্যক্তি ও তার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী, নীতি চিরকালীনরূপে সজীব রয়। এইবারও কি শুধুমাত্র Corporate Finance  অথবা বাজার অর্থনীতি নিয়েই যাবতীয় উচ্ছাস দেখা যাবে না রাষ্ট্রীয়, পরিকল্পিত অর্থনীতির উপরেও জোর দেওয়া হবে? অকল্পনীয় অঙ্কের অর্থ তছরুপ করে যাঁরা বহির্বিশ্বে, গোপনে বসবাস করছেন তাঁদের কি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে? কেন্দ্রীয় সরকার কি অবশেষে ভারতের পূর্বাংশের প্রতি তার চিরাচরিত সৎমা সুলভ আচরণে ইতি টানবেন নাকি এইবারও তার যাবতীয় স্বচ্ছ দৃষ্টি কেবলমাত্র ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিনাংশের উপরেই সীমাবদ্ধ থাকবে? অহরহ ‘অখণ্ড ভারত’-র মন্ত্র জপ ও এই প্রকার অগণতান্ত্রিক পক্ষপাত কোনমতেই একসাথে চলতে সক্ষম নয়। পাঠ্যক্রমে  এখনও সাংস্কৃতিক মার্কসবাদেরই অনুরণন ধ্বণিত হচ্ছে। প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দর্শন আশ্চৰ্যজনক রূপে অনুপস্থিত, এক দশক পরেও। এই ভয়ার্ত পদচারণার কারণ কি? উপযুক্ত মেধা/প্রতিভার অভাব না তা চিহ্নিত করার করার কর্তার অভাব? কিন্তু এই অভাবের জন্য ইতিহাস স্তব্ধ থাকে না, তা আপন গতিতে সদা চলমান। কালক্ষেপে শুধুমাত্র আপন চিন্তার দৃঢ়তার ক্ষয় হয়।

ইন্ডিয়ান আর্মির ক্ষেত্রে যে অপমানকর Martial Race criterion বহাল রয়েছে তার প্রতিকার কি এইবার দৃষ্ট হবে? স্মরণে রাখা প্রয়োজন, যে দুই মহাবিপ্লবী ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব যথা শ্রী বিনায়ক সাভারকর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিন্তা ও কর্মধারাকে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশেষত বর্তমান প্রধামন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর আপন জীবনের ধ্রুবতারা রূপে গণ্য করেন, তাঁরা কিন্তু আজ হতে বহু পূর্বেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের এই পদ্ধতিকে পক্ষপাতদুষ্ট, ক্ষতিকর সাব্যস্ত করেছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর দ্বারা সৃষ্ট ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’র গঠনের মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ রাজ্যের এই ধারাকে নস্যাৎ করেছিলেন। ইন্ডিয়ান আর্মস এক্টের যথাবিধি সংস্কার হিন্দু জাতীয়বাতাবাদীদের দাবি বহুদিনের, কিন্তু তা এখনও অধরা।  ‘শস্ত্র’ ব্যক্তি হিন্দুর ধর্ম ও কর্ম জীবনে আসীন ইশ্বর রূপে, এক ও অকৃত্রিম উপাস্য রূপে, উপাচার নয়। অতএব, সাম্য ও ন্যায়ের আধারে হিন্দুর প্রতি প্রায় দেড়শত বৎসরের এই অবিচার ও অন্যায় বন্ধ করা হোক, অবিলম্বে। ভারতের পূর্বাংশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বিমাতৃসুলভ অব্যাহত রয়েছে যা রোহিঙ্গা-জনিত ভয়াবহ সমস্যাকে অনুধাবন করলেই অনুভূত হয়। ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষায় বড় বিচ্যুতি না হলে এ-হেন অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়। এই অনুপ্রবেশকে রুখতে প্রয়োজনে shoot-to-kill পদ্ধতি দৃঢ়তর রূপে বলবৎ করা প্রয়োজন।  এবং তা সম্ভব একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের কাঠিন্যের মধ্য দিয়ে।

পরিশেষে, ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সশস্ত্র বৈপ্লবিক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আকাঙ্খা ছিল সুদৃঢ়, সুগঠিত ও স্বাধীন ভারত গড়তে সামরিক প্রশিক্ষণকে বাধ্যতামূলক করা। বিদ্যালয়ে NCC এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে (UOTC) বাধ্যতামূলক হলে ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নামক অমানিশার সমাপ্তি একমাত্র সম্ভব। .

বন্দেমাতরম।।