কুশে কেশে বেনা,
অভাবে সন্না।
টাকা পয়সা কড়ি,
অভাবে গড়াগড়ি।
এক স্বর্ণকারের পুরোহিত স্বর্ণকারের পিতৃ শ্রাদ্ধ করতে এসে সেখানে কুশ বা কাশ না পেয়ে না পেয়ে কৃতির হস্তকুশের জন্য বচন আওড়ালেন ‘কুশে কেশে বেনা/ অভাবে সননা’ সুতরাং সননা বা চিমটা হাতে স্বর্ণকার পিতৃশ্রাদ্ধ করল। তারপর দক্ষিণা দানের সময় সে পুরোহিত কে ধরে আছাড় দিল। পুরোহিত উঠোনে গড়াগড়ি দিয়ে উঠে জিজ্ঞাসা করল, ‘এ কেন? দক্ষিণার টাকা চাই। অভাবে পয়সা চাই।’ জজমান জোড়হাত করে নিবেদন করল প্রভু যে শাস্ত্রে লেখা আছে ‘কুশে কেশে বেনা অভাবে সন্না’, সেই শাস্ত্রেই লেখা আছে ‘টাকা পয়সা কড়ি/ অভাবে গড়াগড়ি’।
মনে মনে লঙ্কা ভাগ।
লঙ্কা সমরে লক্ষণ শক্তিশেলে পড়লে হনুমান ওষুধ আনতে যাত্রা করে।
তাকে কৌশলে মেরে ফেলার জন্য রাবণ মাতুল কালনেমি কে লঙ্কার অর্ধেক অংশ প্রদানের অঙ্গীকার ক’রে পাঠায়। কালনেমী ছদ্ম যোগী বেশে গিয়ে হনুমানকে নিজের কুটীরে অতিথি হতে অনুরোধ করে এবং স্নান করার জন্য কুমিরে পূর্ণ কালীদহে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে হনুমানের ফিরতে দেরি হলে হনুমান মরে গেছে ভেবে কালনেমি মনে মনে লঙ্কা রাজ্যকে ভাগ করতে বসে; এবং সে কোন ভাগটি নেবে কোন কোন বিষয় নিলে আরো ভালো হবে সেই চিন্তা করতে থাকে।
এমন সময় হনুমান এসে তাকে মেরে ফেলে।
[অনাগত বিষয়ের চিন্তা দ্বারা নিজের প্রাপ্য স্থির করে নেওয়া একপ্রকার মুর্খামি]