মুদ্রায় ৬০০০ বছরের পুরনো যজ্ঞবেদী ও দিনগণনার পদ্ধতি
‘Political Hinduism’, ‘Politics of Hinduism’, Hindutva Politics, and Hindutva: –
৩০০০ খ্রিস্টপূর্বেও পুতুলের গলায় ক্রস, মুদ্রায় আইডল অফ পমোস –
“হিন্দু সনাতন ধর্মে দেবতার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে শাস্ত্রীয় ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও তার প্রমাণ”
“সেন শাসক কর্তৃক বাঙলা ভাষার চর্চা বন্ধ ” – সত্য না অতিকথা?
Recent Post
অনুশীলন সমিতি – বাঙ্গালীর ক্ষাত্রতেজের মূর্ত প্রতীক
পতনোন্মুখ রাষ্ট্রব্যবস্থা এক নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি করে তৎকালীন সমাজের মধ্যে এবং সেই অনাকাঙ্খিত ধ্বংস সমাজের মধ্যে এক মহা আলোড়ন...শ্রীহট্টের গণভোট – ১৯৪৭: হিন্দু বাঙ্গালীর সর্বনাশের ইতিবৃত্ত
প্রচলিত বাংলা প্রবাদ আছে, “পড়লে কাদায় হাতি চামচিকিতেও মারে লাথি”। হাতিকে কাদায় পড়তে দেখলে কোন চামচিকি না আনন্দ পায়! তবে...How the Indian Economy can recover Post COVID-19 scenario
The economic impact of the 2020 corona virus pandemic in India has been largely disruptive and may cause extensive damage in the...বোধনের বাদ্যি (ছোটগল্প)
নয়নতারা বসে আছে। অনেকক্ষণ ধরে। কী করা উচিৎ ছিল তার? অবশ্য কদিন ধরেই ভাবনাটা আসছে। ঠিক কী করা উচিৎ এই...“প্রিয় বন্ধু প্রিয়নাথ”
” প্লেগটাকে কোনমতে ঘরে ঢুকতে দিয়ো না- তোমার সভায় বেগার কাজের উমেদার আনাগোনা করে – সেই সঙ্গে ইনিও যেন গিয়ে...An Introduction To Petrophysics
Petrophysics is a branch of Physics applied to Petroleum Exploration. To make the things be understood let me give an...বৃষ্টিমালা গাঁথা
“আজি তোমায় আবার চাই শুনাবারে” – ফুলরেণু মাখা বৃষ্টিবিন্দু কদম্বমেঘ আষাঢ়সিন্ধু নগরী ভাসায়ে,নবীন আশায়, নামিয়া প্লাবনাকারে, টানা দিন দু, ঢাকি...শ্রবণে হেমন্ত
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শতবর্ষপালন প্রায় কিছুই হয়ে উঠল না এবার মারীমাহাত্ম্যে। তবু,সেই কিংবদন্তী শিল্পীর স্মরণে এই বিভাগে আমরা রাখলাম এক বিরল...বঙ্গ-বিপ্লব এবং আমাদের বিনয় সরকার
It is not the occasion for lazily sitting tight on past achievements or for senselessly gloating and getting dizzy over...সবুজ সন্ধান
এক পশলা জমা জলেই ছোট্ট খোকার নৌকাভাসানোর নাছোড় প্রয়াস.. চারপাশ কংক্রিটে না মুড়ে, দিন না ওদের একটু ঘাসফুল,মেঠো ফড়িং,বুনোপাখি, ছোট্ট...Top Post
সম্পাদকীয়
রব উঠেছে চতুর্দিকে যে হিন্দু ধর্মের চরিত্রে অনপনেয় কলঙ্ক লেগেছে -অযোধ্যায় আসন্ন শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের দ্বারোদ্ঘাটন সেই কলঙ্ককে চিরস্থায়ী করবে। কলঙ্ক কিসের? সহস্র সহস্র বৎসরব্যাপী যে হিন্দু ধর্ম সহিষ্ণুতা, অহিংসা, ত্যাগ, বৈরাগ্যের কথা সমগ্র বিশ্বে সজোরে উচ্চারণ করেছে তার চরিত্রে কলঙ্কলেপন করছে এক চিহ্নিত দুষ্ট হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে শুধুমাত্র আঘাত নয়, তার আদ্যন্ত বিশ্বাসের প্রতীককে ধ্বংস করে সেই স্থানে নির্ম্মিত হবে এক সুরম্য, বিশালাকায় মন্দির ও তার প্রাঙ্গণ! এতো হিন্দুর শিক্ষা ছিল না কখনও। তাহলে এই ঐতিহাসিক, প্রকান্ড বিচ্যুতি কিসের? একাদিক্রমে বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে এই বিস্ময়ের মুখপাত্র রূপে। পাঠক কি এতে কৌতূহলী হবেন? জানতে কি চাইবেন এঁরা কারা? মানব মননের কোন অচিন্ত্যনীয় স্তর হতে এই সহমর্মিতার বার্তা? এক্ষেত্রে উত্তর একটিই – এই সহমর্মিতা আপনার জন্য নয়, ব্যক্তি হিন্দু বা সমাজ বা তার রাষ্ট্রচিন্তার জন্যও নয়। তা কেবলমাত্র হিন্দুদ্বেষের এক সূক্ষ প্রকাশ মাত্র এবং অবশ্যই হিন্দুকে তার লক্ষ্যচূত করার। অতএব, প্রশ্ন ওঠে লক্ষ্য কি? হিন্দুর লক্ষ্য কি? লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয় – দূরবর্তী, নিকটবর্তী ও আপাত। হিন্দুর আপাত লক্ষ্য হল অযোধ্যায় শ্রীশ্রী রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। প্রত্যেক দন্ডায়মান মন্দিরের দৃঢ় ভঙ্গি রাষ্ট্রচেতনার এক অনন্য প্রকাশ। রাষ্ট্র বিনা মন্দির স্থায়ী হয় না, ধর্মও হয় না।
যাঁরা এক্ষণে দুষ্ট, সাম্প্রদায়িক হিন্দুর আক্ষরিক সমালোচনায় মগ্ন (অবশ্যই সম্পূর্ণ হিন্দু সমাজের নয় নতুবা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এহেন বিশাল হিন্দু সমাজের সমর্থন বা ভোট হারাতে তাঁরা কদাপি প্রস্তুত নন) তাঁদের কাছে একটিই প্রশ্ন, স্তিমিত গণতান্ত্রিক রূপে – এতদিন আপনারা বিশ্বসংসারের কোন লোকে অবস্থান করছিলেন? বিশ্বজুড়ে হিন্দুর উপর অকথ্য অত্যাচার, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মায়ানমারে একাদিক্রমে ঘটতে থাকা হিন্দু গণহত্যার সময় আপনাদের জলদগম্ভীর প্রতিবাদী, শাণিত কণ্ঠ নিস্তব্ধ ছিল কেন? তখন তো কোন investigative reports র ঝড় ওঠেনি প্রতিবাদে। দেখা যায়নি ভারতের কোন শহরে উপরিউক্ত দেশগুলির হাইকমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রত হতে? উন্মত্ত না হোক, মৃদু প্রতিবাদেই আমাদের অশান্ত আত্মা তৃপ্ত হতো। কিন্তু তাও হয়নি, একটিবারের জন্যেও।
….মূল সমস্যা হল, আপনারা অর্থাৎ স্খলিত মানবতাবাদীরা, আব্রাহামিক কম্যুনিস্টরা হিন্দু ধর্মের স্বরুপ অনুভব করার তিলমাত্র প্রচেষ্টা করেননি। যদি করতেন, অনভূব করতেন সহিষ্ণুতা, অহিংসা, ত্যাগ, বৈরাগ্যের কথাই একমাত্র হিন্দু ধর্ম ঘোষণা করেনি। তারি সাথে গার্হস্থ্য, অমোঘ রাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধনীতি, রাষ্ট্রচিন্তার চর্চ্চাও করেছে নিপুণতায়। শ্রীশ্রীরামচন্দ্র ও তাঁর মন্দির সংক্রান্ত আপনাদের দুর্ভাবনা দূরে করতে আমরা পবিত্র ‘রামায়ণ’-র স্মরণ নিইই বরং। কথাপ্রসঙ্গে ঋষি বিশ্বামিত্র বলছেন শ্রী শ্রী রাম ও তাঁর অনুজ শ্রী লক্ষণকে,
‘নৃশংমনৃশংসং বা প্রজারক্ষণকারণাৎ।
পাতকং বা সদোষং বা কর্তব্যং রক্ষতা সদা।।
রাজ্যভারনিযুক্তানামেষ ধর্মঃ সনাতনঃ। (২৫। ১৮ – ১৯)
– প্রজারক্ষার নিমিত্ত নৃশংস বা অনৃশংস, পাপজনক বা দোষযুক্ত সকল কর্মই করতে হবে। যাঁদের উপর রাজ্যচালনার ভার আছে তাঁদের এই সনাতন ধর্ম।………..এইহেতু, আপনারা ধর্মের এই নব অধ্যায়ের চর্চ্চায় ব্যস্ত থাকুন, আমরা মন্দির নির্মাণ ও তার উদ্বোধনে মনোযোগী হই। সর্বশেষে, একদেশদর্শী সহিষ্ণুতা হিন্দু সমাজকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে; অসহিষ্ণুতায় আবৃত হোক হিন্দু সমাজ এক্ষণ হতে।