Recent Post
অনুশীলন সমিতি – বাঙ্গালীর ক্ষাত্রতেজের মূর্ত প্রতীক
পতনোন্মুখ রাষ্ট্রব্যবস্থা এক নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি করে তৎকালীন সমাজের মধ্যে এবং সেই অনাকাঙ্খিত ধ্বংস সমাজের মধ্যে এক মহা আলোড়ন...শ্রীহট্টের গণভোট – ১৯৪৭: হিন্দু বাঙ্গালীর সর্বনাশের ইতিবৃত্ত
প্রচলিত বাংলা প্রবাদ আছে, “পড়লে কাদায় হাতি চামচিকিতেও মারে লাথি”। হাতিকে কাদায় পড়তে দেখলে কোন চামচিকি না আনন্দ পায়! তবে...How the Indian Economy can recover Post COVID-19 scenario
The economic impact of the 2020 corona virus pandemic in India has been largely disruptive and may cause extensive damage in the...বোধনের বাদ্যি (ছোটগল্প)
নয়নতারা বসে আছে। অনেকক্ষণ ধরে। কী করা উচিৎ ছিল তার? অবশ্য কদিন ধরেই ভাবনাটা আসছে। ঠিক কী করা উচিৎ এই...“প্রিয় বন্ধু প্রিয়নাথ”
” প্লেগটাকে কোনমতে ঘরে ঢুকতে দিয়ো না- তোমার সভায় বেগার কাজের উমেদার আনাগোনা করে – সেই সঙ্গে ইনিও যেন গিয়ে...An Introduction To Petrophysics
Petrophysics is a branch of Physics applied to Petroleum Exploration. To make the things be understood let me give an...বৃষ্টিমালা গাঁথা
“আজি তোমায় আবার চাই শুনাবারে” – ফুলরেণু মাখা বৃষ্টিবিন্দু কদম্বমেঘ আষাঢ়সিন্ধু নগরী ভাসায়ে,নবীন আশায়, নামিয়া প্লাবনাকারে, টানা দিন দু, ঢাকি...শ্রবণে হেমন্ত
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শতবর্ষপালন প্রায় কিছুই হয়ে উঠল না এবার মারীমাহাত্ম্যে। তবু,সেই কিংবদন্তী শিল্পীর স্মরণে এই বিভাগে আমরা রাখলাম এক বিরল...বঙ্গ-বিপ্লব এবং আমাদের বিনয় সরকার
It is not the occasion for lazily sitting tight on past achievements or for senselessly gloating and getting dizzy over...সবুজ সন্ধান
এক পশলা জমা জলেই ছোট্ট খোকার নৌকাভাসানোর নাছোড় প্রয়াস.. চারপাশ কংক্রিটে না মুড়ে, দিন না ওদের একটু ঘাসফুল,মেঠো ফড়িং,বুনোপাখি, ছোট্ট...Top Post
এক নজরে
Westland Books announces the Release of ‘Rama of the Axe’ by Ranjith Radhakrishnan
~ Rama of the Axe is an attempt to convey Parashurama’s magnificence in words for the modern reader ~Releasing on May 22 28 April 2023, National: Westland Books has announced ‘Rama of the Axe’, a book by talented debut writer Ranjith Radhakrishnan. The book is the author’s attempt to convey Par
জনস্বার্থে বিজ্ঞানের অন্বেষণ –
মাদাগাস্কারের ব্যাঙ্কনোট ও গোরস্থানের বৃষকাষ্ঠ –
সম্পাদকীয়ঃ
যদিচ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স ও তার মুখপত্র ‘কাঞ্জিক’ ভারতবর্ষের প্রত্যক্ষ দলীয় রাজনীতির সাথে চিরতরে বিযুক্ত থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার নিজস্ব আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বিচারধারা একান্তভাবেই রাজনৈতিক। তার একটিই কারণ – বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স অকুণ্ঠচিত্তে বাঙ্গালী হিন্দুর স্বার্থ, স্বাত্যন্ত্রতার প্রতিনিধি। তাই, সমস্ত পথ বিবেচনা করে তার আপন স্বার্থে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যাগমনকেই শ্রেয় রূপে গ্রহণ করে। কিন্তু প্রশ্নাতীত রূপে নয়। ….অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর পাওয়া যায়নি ভারতের জাতীয় রাজনীতি হতে বিগত এক দশকে। শুধুমাত্র প্রত্যাগমনেই প্রত্যাশিত সমাধান প্রাপ্তি হয় না। তাই প্রশ্নের আশু উত্তর প্রয়োজন রয়েছে।
যদি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হন তবে কি পূর্বের মতোই এইবারও ব্যক্তিকেন্দ্রিক উচ্ছাস অব্যাহত থাকবে না প্রকৃষ্ট নীতিসমূহ ও তার কার্যকর করার প্রচেষ্টা তার স্থলাভিষিক্ত হবে? ব্যক্তির পরিবর্তে নীতি ও বিচারধারাতেই উৎসাহী আমরা; ব্যক্তি ও তার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী, নীতি চিরকালীনরূপে সজীব রয়। এইবারও কি শুধুমাত্র Corporate Finance অথবা বাজার অর্থনীতি নিয়েই যাবতীয় উচ্ছাস দেখা যাবে না রাষ্ট্রীয়, পরিকল্পিত অর্থনীতির উপরেও জোর দেওয়া হবে? অকল্পনীয় অঙ্কের অর্থ তছরুপ করে যাঁরা বহির্বিশ্বে, গোপনে বসবাস করছেন তাঁদের কি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে? কেন্দ্রীয় সরকার কি অবশেষে ভারতের পূর্বাংশের প্রতি তার চিরাচরিত সৎমা সুলভ আচরণে ইতি টানবেন নাকি এইবারও তার যাবতীয় স্বচ্ছ দৃষ্টি কেবলমাত্র ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিনাংশের উপরেই সীমাবদ্ধ থাকবে? অহরহ ‘অখণ্ড ভারত’-র মন্ত্র জপ ও এই প্রকার অগণতান্ত্রিক পক্ষপাত কোনমতেই একসাথে চলতে সক্ষম নয়। পাঠ্যক্রমে এখনও সাংস্কৃতিক মার্কসবাদেরই অনুরণন ধ্বণিত হচ্ছে। প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দর্শন আশ্চৰ্যজনক রূপে অনুপস্থিত, এক দশক পরেও। এই ভয়ার্ত পদচারণার কারণ কি? উপযুক্ত মেধা/প্রতিভার অভাব না তা চিহ্নিত করার করার কর্তার অভাব? কিন্তু এই অভাবের জন্য ইতিহাস স্তব্ধ থাকে না, তা আপন গতিতে সদা চলমান। কালক্ষেপে শুধুমাত্র আপন চিন্তার দৃঢ়তার ক্ষয় হয়।
ইন্ডিয়ান আর্মির ক্ষেত্রে যে অপমানকর Martial Race criterion বহাল রয়েছে তার প্রতিকার কি এইবার দৃষ্ট হবে? স্মরণে রাখা প্রয়োজন, যে দুই মহাবিপ্লবী ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব যথা শ্রী বিনায়ক সাভারকর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিন্তা ও কর্মধারাকে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশেষত বর্তমান প্রধামন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর আপন জীবনের ধ্রুবতারা রূপে গণ্য করেন, তাঁরা কিন্তু আজ হতে বহু পূর্বেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের এই পদ্ধতিকে পক্ষপাতদুষ্ট, ক্ষতিকর সাব্যস্ত করেছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর দ্বারা সৃষ্ট ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’র গঠনের মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ রাজ্যের এই ধারাকে নস্যাৎ করেছিলেন। ইন্ডিয়ান আর্মস এক্টের যথাবিধি সংস্কার হিন্দু জাতীয়বাতাবাদীদের দাবি বহুদিনের, কিন্তু তা এখনও অধরা। ‘শস্ত্র’ ব্যক্তি হিন্দুর ধর্ম ও কর্ম জীবনে আসীন ইশ্বর রূপে, এক ও অকৃত্রিম উপাস্য রূপে, উপাচার নয়। অতএব, সাম্য ও ন্যায়ের আধারে হিন্দুর প্রতি প্রায় দেড়শত বৎসরের এই অবিচার ও অন্যায় বন্ধ করা হোক, অবিলম্বে। ভারতের পূর্বাংশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বিমাতৃসুলভ অব্যাহত রয়েছে যা রোহিঙ্গা-জনিত ভয়াবহ সমস্যাকে অনুধাবন করলেই অনুভূত হয়। ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষায় বড় বিচ্যুতি না হলে এ-হেন অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়। এই অনুপ্রবেশকে রুখতে প্রয়োজনে shoot-to-kill পদ্ধতি দৃঢ়তর রূপে বলবৎ করা প্রয়োজন। এবং তা সম্ভব একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের কাঠিন্যের মধ্য দিয়ে।
পরিশেষে, ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সশস্ত্র বৈপ্লবিক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আকাঙ্খা ছিল সুদৃঢ়, সুগঠিত ও স্বাধীন ভারত গড়তে সামরিক প্রশিক্ষণকে বাধ্যতামূলক করা। বিদ্যালয়ে NCC এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে (UOTC) বাধ্যতামূলক হলে ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নামক অমানিশার সমাপ্তি একমাত্র সম্ভব। .
বন্দেমাতরম।।