১) চাষার চাষ দেখে
চাষ করলে গোয়াল
ধানের সঙ্গে খোঁজ নাই
বোঝা বোঝা পোয়াল
(যেটা যার কাজ নয়, সে কাজে সুফল পাওয়া যায় না।)
২) চিঁড়ে কাঁচকলা
(যাদের মধ্যে সদ্ভাবে কোন সম্ভাবনা নাই।)
৩) রাজার রাজ্য পাট
গরীবের শাকভাত
(রাজা সিংহাসনে বসে যেমন সুখ ভোগ করেন,
গরীব লোক শাক ভাত খেতে তেমনই সুখ পায়।)
৪) হাতে যদি নাই ধন
পাঁচ হও এক মন
(যদি হাতে পয়সা না থাকে, তবে পাঁচজনে
এক মতালম্বী হও, তা হলে পয়সা না থাকলেও
কার্য উদ্ধার হতে পারে।)
৫) হবু ছেলের অন্নপ্রাশন
(যে ছেলে এখনও গর্ভে আছে, তার অন্নপ্রাশনের উদ্যোগ – পরে কি হবে না জেনেই
তার জন্য প্রস্তুত হওয়া।)
৬) সৌরভে ভ্রমর মজে
(পদ্মের সুবাসে মুগ্ধ হয়ে ভ্রমর তাতে বসে,
রাত্রিকালে পদ্ম মুদ্রিত হলে ভ্রমর আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
সুখের সাধ মিটাতে গিয়ে বিপন্ন হওয়া।)
৭) হওয়া ভাতে কাটি
(কাজ শেষ হয়ে গেলে, তাতে সাহায্য করতে আসা।)
৮) শূন্য কলসী শুকনা
শুকনা জলে ডাকে কা
যদি দেখো মাকুন্দ চোপা
এক পা না বাড়াও বাবা
(যাত্রা কালে শূন্য কলসী, শুকনো নৌকা,
শুকনো জলে কাক ডাকতে দেখা যায়, ও
দাড়ি গোঁফ হীন লোককে দেখা যায়
তাহলে যাত্রা করবে না কখনও। )
৯) কানার ছাতা বুধের মাথায়
ক্ষেতের ফসল রাখবে কোথায়
(যে বছর বুধ রাজা ও কানা শুক্র মন্ত্রী হয়ে ছত্র ধরেন,
সে বছর বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে থাকেন।)
১০) সোনার পাথরবাটি
(যা হতে পারে না, এমন বিষয়ের উল্লেখ)
১১) সূঁচ সোহাগা সুজন
ভাঙ্গা গড়ে তিনজন
(সূঁচ সোহাগা এবং সুজন, ইহারা ভাঙ্গা জিনিসকে নতুন করে।
সূঁচ ছেঁড়া কাপড়কে সেলাই করে নতুন করে,
সোহাগা ভাঙ্গা ধাতু পাত্রকে জুড়ে নতুন করে,
এবং সাধু ব্যক্তি চরিত্রপ্রভাবে শত্রুকেও মিত্র করে।)
১২) সূঁচ চলে না
বেটে চালায়
(যেখানে অতি ক্ষুদ্র কাজও সম্পন্ন হতে পারে না,
সেখানে কৌশলে বৃহৎ কার্য সাধন।)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here