১) ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনী
পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি
(অভ্যাসেই অভিজ্ঞ হয়)
২) নিরাখালের খোদা রাখাল
(যে অসহায়, ঈশ্বর তার সহায়)
৩) যার যা রীত
না ছাড়ে কদাচিৎ
(স্বভাব যায় না ম’লে)
৪) বাবার বিয়ে, খুড়োর নাচন
(যা দেখা অসম্ভব)
৫) পুরুষ পরশ পাথর
(পুরুষ কোন জিনিস ছুঁলে দোষ হয় না)
৬) যেমন হাঁড়ি তেমন সরা
যেমন নদী, তেমন চড়া
(যোগ্য পাত্রের সহিত যোগ্য জিনিসের মিলন)
৭) অজ্ঞানেরে করে পাপ
জ্ঞান হলে হবে
সজ্ঞানে করে পাপ
সঙ্গে সঙ্গে ফেরে
(না জেনে পাপ করলে সে পাপ হতে মুক্ত হতে পারে, জেনে শুনে পাপ করলে কখনও খণ্ডিত হয় না)
৮) ফুলে নাই গন্ধ
চোখ থাকতে অন্ধ
(যে ফুলে গন্ধ নাই, সে বৃথা; যে চোখে সবকিছু দেখতে পায় না, সে অন্ধ)
৯) মা ম’লে বাবা তালুই
ছেলে হয় বোনে বাড়ই (বাবুই)
(তালুই – ভ্রাতা বা ভগিনীর শ্বশুর)
(মা মারা গেলে বাবা তালুইয়ের মতো ব্যবহার করে। আর ছেলে বাবুই পাখির মতো কোথা যায়, কি খায় ঠিক থাকে না)
১০) মুখে মিঠে
নিম নিষিন্দে পেটে
(খুব মিষ্টি মিষ্টি কথা, পেতে হিংসা)
১১) শ্রাবণের পুরো
ভাদ্রের বারো
তার মধ্যে যত পারো
(শ্রাবণ মাসের পুরো, আর ভাদ্র মাসের বারো তারিখের মধ্যে ধান রোয়া শেষ করতে হয়। কারণ ভাদ্রের বারো তারিখের পর রোপন করলে ধান ভালো হয় না)
১২) মামার শালা, পিসির ভাই
তার সঙ্গে সম্পর্ক নাই
(এরা কেউ রক্তের সম্পর্ক নয়)
১৩) কিসেয় আর কিসেয়
সোনায় আর সীসেয়
(যার সাথে তুলনাই চলে না)
১৪) মন চাঙ্গা তো
কেঘোর চাঙ্গা
(মন শুদ্ধ থাকলে, ঘরে বসে গঙ্গা স্নান বা তীর্থ ফল লাভ করা যায়)
১৫) ময়ূরের নৃত্য দেখি
লেজ নাড়া ছাতার পাখি
(সমর্থকে কোন কাজ করতে দেখে, অসমর্থ তার অনুসরণ করে)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here