(পূর্বের অংশের পর)
– শ্রী অলোক ভট্টাচার্য
সপ্তম অধ্যায় –
যে গ্রামটি শিক্ষা, সংস্কৃতিতে এত অগ্রগামী ছিল সেখানে রাজনীতির প্রবেশ ঘটেনি তেমন তো ঘটতে পারে না। এই পর্বে কোড়কদীর রাজনীতিবিদদের নিয়ে দুকথা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু চোখের কিছু সমস্যা হওয়ায় লিখতে বা পড়তে একটু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বছর আটক আগে আমার একটি প্রতিবেদন ঢাকার একটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটিই আপনাদের সামনে রাখছি। যাঁকে নিয়ে এটি লেখা তিনি নিজে কাউকে নিজের সম্বন্ধে কিছু বলতেন না; কোন কিছু লিখে রেখেও যাননি এমনই এক আত্মপ্রচার বিরোধী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তাঁর কর্মসাথী ও কর্মসাক্ষীদের কাছে স্বকর্ণে শোনা ও দু’একটি লিখিত ও প্রকাশিত তথ্য থেকে গৃহীত।
তিনি হলেন আমার স্বর্গগত পিতৃদেব শ্রী শ্যামেন্দ্রনাথ ভপট্টাচার্য – আক্ষরিক অর্থেই এক সমাজ বিপ্লবী, যিনি প্রচলিত ধর্মের নিয়োগপ্রক্রিয়া বহির্ভূতরূপে মনুষ্যত্বের উপরেই তাঁর জীবনের সকল প্রশ্ন ও অখণ্ড বিশ্বাস ন্যস্ত করেছিলেন। অনুশীলন সমিতির ছত্রছায়ায় তাঁর বৈপ্লবিক জীবনের সূত্রপাত, বিকাশ হয় কম্যুনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরে। ‘৪৭র দেশভাগের পর বহু সুযোগ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার পরিবর্তে জন্মভূমি ও সেখাকার নিপীড়িত জনগণের সাথে একাত্মতা দৃঢ়তর করে একমাত্র কর্তব্য মনে করেন। …
(ক্রমশঃ)
