১১) বুকে বসে চোখে ঠোকর
(আশ্রয়দাতার বা প্রতিপালকের অনিষ্ট সাধন)
১২) উনা ভাতে দুনা বল
(পেটে একটু জায়গা রেখে খেলে হজম ভালো হয়, শক্তি বাড়ে)
১৩) মা গুনে বেটি
জিনিস গুনে রুটি
(বাঙালী মুসলিম মেয়েরা আলোচালের গুঁড়ি দিয়ে যে সুন্দর রুমালের মতো সাদা ফিনফিনে রুটি বানায়, সে রুটিটা প্রথমে ঘাসির করে (ফুটন্ত জলে গুঁড়ি দিয়ে গলা তৈরী করে) তারপর লেচি কেটে দুহাতের আঙুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সুন্দর গোল মতন নক্সাওয়ালা ‘জিনিস’ তৈরী করে, তারপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রুটিটা বেলা হয়, যার জিনিস যত সুন্দর, তার রুটিও তত সুন্দর হবে, জিনিসগুণে যেমন রুটি সুন্দর হয়, তেমন মায়ের শিক্ষাতেই মায়ের চরিত্র গঠন হয়)
১৪) উদে (উদবিড়ালে) মাছ ধরে
খটাশে তিনভাগ করে
(একের পরিশ্রমের ফল অন্য উপভোগ করে)
১৫) একা ঘরের একা ভাই
খেতে বড় সুখ
মারতে গেলে ধরতে নাই
তও বড় দুখ
(একান্নবর্তী সংসার ভালো)
১৬) দস্যির দশদিন
মুড়ি কোদালের একদিন
(অন্যায় কাজ করলে বেশীদিন চলে না, কোন জিনিস মুড়িয়ে খেয়ে নিলে, একদিনেই শেষ হয়ে যায়)
১৭) নিজের সোদর
কাঁথার ভেতর
(আপনজন সবাই দরদের)
১৮) ঘুঁটেকুড়ুনির বেশি মক্কা দেখেছে
(অতি ক্ষীণ ব্যক্তির উচ্চপদ লাভ)
১৯) ওঝার ঘাড়ে বোঝা
(যে ব্যক্তি বিপদে প্রতিকার করে, তারই বিপদ বাড়ে)
২০) ছটাকের ভাগ্যে সের হয় না
(যার নিজের সবটাই ছোটমাপের, সে কখনও বড় কিছু পেতে পারে না। অর্থাৎ বড় কিছু পেতে গেলে নিজেকে তার ক্ষুদ্রত্ব ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে)
(চিত্রঋণ – শ্রী শুভার্থী মন্ডল)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here