– নবেন্দু ঘোষ
১৯৫০ সালে, ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক দিশারী, যশস্বী বিমল রায়ের সঙ্গে, তাঁর ইউনিটের চিত্রনাট্যকার হিসেবে সুদূর বোম্বাই পাড়ি দিয়েছিলাম। সেখানকার অপরিচিত ফিল্ম জগতে আমাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ পরপর ”মা”, ”বাপবেটি”, ”পরিণীতা’, ”বিরাজ বহু” এবং ”দো বিঘা জমিন” -এর সাফল্যের পর সুনিশ্চিত তথা সুরক্ষিত হল। ফলে বিমল রায়ের চিত্রনাট্যকারের মুখও অনেকের কাছে পরিচিতি লাভ করল এবং অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক আসতে লাগল।
১৯৫৫ সালে, ‘দেবদাস’-এর চিত্রনাট্য শেষ করেছি তখন। ফিল্মিস্তানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার শশধর মুখার্জীর ডাকে তাঁর জন্য ‘জমানা’ নামে একটি ছবিরির চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করলাম। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন অরবিন্দ সেন।
একদিন আলোচনা শেষে ফিল্মিস্তানের ক্যান্টিনে বসে চা-পানে রত ছিলাম। বিকেলবেলা। তখন স্টুডিওর একজন রেকর্ডিস্ট্, কল্যাণ সিং, আমার কাছে এসে দাঁড়ালেন। সঙ্গে ২৬/২৭ বছরের এক দীর্ঘকায় ও সুদর্শন যুবক।
”নমস্তে নবেন্দুদাদা,” কল্যাণ সিং বললেন।
আমি সহাস্যে আমন্ত্রণ জানালাম, ”বসুন, চা খান।”
বসতে বসতে কল্যাণ সিং বললেন, ”দাদা, ইনি হচ্ছেন বলরাজ দত্তা, ডাইরেক্টর রমেশ সেহগল আমাদের জন্য যে ‘রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম’ নামের ছবিটি তৈরী করছেন তার হিরো। নতুন ফাইন্ড -”
আমি সেই নতুন ফাইন্ডটির দিকে তাকিয়ে বললাম, ”মুবারক হো, বলরাজজি।”
সেই বলরাজ নামধেয় সুদর্শন যুবকটি হেসে বললেন, ”দাদা, আমার বলরাজ নামটি আমি এখন ত্যাগ করেছি।”
প্রশ্ন করলাম, ”তার মানে?’
বলরাজ বললেন, ”বলরাজ সাহানি নামের একজন শক্তিশালী অভিনেতার আবির্ভাব ঘটেছে তাই আমি আর দু-নম্বর বলরাজ হতে চাই না বলে এক নম্বর সুনীল দত্ত হয়েছি – সুনীল – আঁসমা জেসা – আকাশের মতো” – বলে হাসতে লাগলেন সেই যুবক। হাসিটি খুব মিষ্টি।
আমি আন্তরিকতার সাথে বললাম, ”আপনার এই নাম সার্থক হোক, আপনি খ্যাতিমান হোন। এই আমার শুভকামনা সুনীলজি – ”
সেই সুনীল দত্ত বললেন, ”একটা আরজি দাদা, আমার নামের সঙ্গে আপনি ‘জি’ শব্দটি কখনো লাগাবেন না – ঠিক তো?”
বললাম, ” জি সুনীলজি।”
সুনীল হাসিমুখে প্রতিবাদ করলেন, ”দাদা!”
বললাম, ”সরি সুনীল।”
আমরা তিনজনেই হেসে উঠলাম।
সেই প্রথম দেখা সুনীল দত্তর সঙ্গে। কিন্তু সত্যি বলছি, মনে হয়েছিল যেন অনেক পূর্ব পরিচিত।
তারপর অনেকদিন কাটল। ‘রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম’ ছবিটি সফল না হলেও সুনীল দত্ত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। কিন্তু দেখা হচ্ছিল না আমাদের।
হঠাৎ ১৯৫৭ সালে একটা বড় খবর পেলাম। মহান চলচ্চিত্রকার মেহবুব খানের ‘ মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় অভিনয় করছেন সুনীল দত্ত। সেই ছবির নায়িকা, এক মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রাজ কাপুর-খ্যাত নারগিস, যার সৌন্দর্যে অজন্তার ছাপ, তাঁরই দ্বিতীয় ও দুর্দান্ত-প্রকৃতির ছেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন সুনীল দত্ত। বাঃ ভালো হোক সুনীল দত্তের। মানুষটা বড় ভালো।
একদিন কাগজে পড়লাম ও লোকমুখে জানলাম যে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ তে একটি অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য ছিল। সেই দৃশ্যের শুটিং-এ নারগিসের প্রাণ বিপন্ন হয়েছিল এবং তখন নিজের প্রাণের পরোয়া না করে সুনীল দত্ত তাঁকে বাঁচিয়েছেন। ধন্য সুনীল দত্ত।
‘মাদার ইন্ডিয়া’ রিলিজ হল, চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হল ছবিটির নাম এবং তারপরেই হৈহৈ-খবর পেলাম যে আগুন থেকে যাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সুনীল সেই নারগিসকে বিয়ে করে তাঁর প্রাণেশ্বর হয়েছেন তিনি। মনে মনে বললাম, “বাঃ সুনীল দত্ত, বাঃ”।
দিন কাটতে লাগল। কাগজে খবর পড়ি সুনীল দত্তদের বিষয়ে, এ কাগজে সে কাগজে ছবি দেখি কিন্তু সামনাসামনি আর দেখা হয় না।
অবশেষে তা হল একদিন। বোধহয় ফিল্ম-ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের এক জমায়েতে।
মুখোমুখি হলাম সুনীল দত্ত আর নারগিসের।
“নমস্তে প্যারে নবেন্দু দাদা” – বললেন সুনীল এবং নারগিসের দিকে তাকিয়ে বললেন, “দাদা হ্যায় মহান পটকথা লেখক” –
নারগিস যুক্তকরে হেসে বললেন, “জি, আমি ওঁর নামের সঙ্গে সুপরিচিত। ঘোষদাদা, আপনার এক স্ক্রিপ্ট আমি সারা জীবন মনে রাখব।”
সুনীল সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকালেন।
নারগিস বললেন, “বিমল রায় সাব মুঝে উন্কা ‘ইহুদি’ ফিল্মকা স্ক্রিপ্ট ভেঁজে থে – ইংরাজিতে লেখা। যেন একটি উপন্যাসের মত – বোম্বাইতে এই ভঙ্গিতে কেউ এখন পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট লেখেন না।”
সুনীল দত্ত মুগ্ধকণ্ঠে বললেন, “ইসিলিয়ে তো ইনকো ম্যাঁয় ‘দাদা’ বোলতাহুঁ নার্গিসজি।”
আমি নারগিসকে কৃতজ্ঞতা জানালাম। মনে পড়ল, বিমলদা আমাকে জানিয়েছিলেন নারগিসের সেই প্রশংসার কথা। কিন্তু নারগিসের প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও তিনি আমাদের ‘ইহুদি’ ছবির নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেননি কারণ তিনি রাজ্ কাপুর ফিল্মসের একচেটিয়া সম্পত্তি ছিলেন তখন। মীনাকুমারী শেষ পর্যন্ত এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এই দেখা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
১৯৫৯ সালে বিখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক শক্তি সামন্তের ‘ইনসান জাগ্ উঠা’ ছবির চিত্রনাট্য লিখলাম। গল্প কি? – একটি লোভী ও বেপরোয়া যুবক গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে একটি গ্রামে উপস্থিত হয়ে দেখল যে সেই এলাকায় এই বিশাল ‘ড্যাম’ তৈরী হচ্ছে। সেই মহৎ ব্রত সম্পাদনকারীদের উৎসাহ এবং সংকল্প-নিষ্ঠা দেখতে দেখতে তার হৃদয় কিভাবে দেশ-সেবায় উদ্বুদ্ধ হল তারই কাহিনী ছিল ‘ইনসান জাগ্ উঠা’ ।
শক্তি সামন্ত বললেন, “আপনিও লোকেশনে চলুন নবেন্দুদা, যদি কিছু অদলবদল করতে হয় -“
বললাম, “বেশ তো, চলুন বেড়াতে যাই।”
গেলাম অন্ধ্রপ্রদেশে। হায়দ্রাবাদ ছাড়িয়ে সেকেন্দ্রাবাদ। সেখানকার এম এল এ কোয়ার্টার্সে থাকবার জায়গা পেলাম। দেখলাম যে অদূরেই বিশাল কৃষ্ণাসাগর – ড্যাম-এর নির্মাণকার্য্য চলছে। বিশাল, সুবিশাল।
সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ একজনের গলা।
‘নমস্তে প্যারে দাদা” – দেখি সুনীল দত্ত হাসছেন দূরপ্রান্ত থেকে।
উঠে দাঁড়ালাম, “অরে আইয়ে সুনীলজি” – সুনীল দত্ত হেসে বললেন, “অরে দাদা, কেন আপনি ‘জি’ ‘জি’ করছেন?”
বললাম, “আর করব না, সত্যি বলছি সুনীলজি – সরি – সুনীল বোস বোস।”
সেই “ইনসান জাগ্ উঠা” ছবির নায়ক ছিলেন সুনীল দত্ত, নায়িকা ছিলেন ‘মহল’ ছবির সেই স্বপ্ন-সুন্দরী মধুবালা, সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন শচীন কত্তা।
দিন পনেরো শুটিং হয়েছিল সেখানে।
অবশ্য আমি দিন পাঁচেক থেকেই চলে এসেছিলাম কিন্তু ওই পাঁচ দিনের স্মৃতি বড় মধুর। সুনীল দত্তের গুণে। সন্ধ্যার পরে শিল্পীদের কোন কোয়ার্টারের ছাদে চন্দ্রালোকে আড্ডা বসত। মধ্যমণি সুনীল দত্ত। সে একদিন তাদের ‘জাট’ ভাষায় লোকসঙ্গীত শোনাল – আমরা চেঁচালাম ‘ বল্লে বল্লে’ – একদিন মধুবালাও গান গাইলেন, মনে হল যেন এক চন্দ্রালোকিত আকাশ থেকে কোন সুরকন্যা নেমে এসেছে। বলতে নেই সুনীল দত্তের পীড়াপীড়িতে আমিও পঙ্কজ মল্লিকের অনুকরণ করে গেয়েছিলাম, “দিনের শেষে, ঘুমের দেশে , ঘোমটাপরা ওই ছায়া” – আর কিছুতেই ভুলব না একরাতে শোনা সুনীল দত্তের অতীত জীবনকথা।
পাঁচ বছর বয়সে পিতৃহারা, ২৩ বছরে মাতৃহারা, ছিন্নমূল রিফিউজি হয়ে বোম্বাইতে আশ্রয় পাওয়া, কয়েক মাস মিলিটারিতে চাকরি, রেডিও- অ্যানাউন্সার, হরেক-রকমের জীবনের তেতো ঝাল মিষ্টি খেতে খেতে অবশেষে ফিল্মের নায়ক হওয়া – তাঁর বিচিত্র উত্তরণের কাহিনী।
কয়েকমাস পরের কথা। সুবোধ ঘোষের কাহিনী পছন্দ হল বিমলদার। আমি চিত্রনাট্য লিখলাম। নায়িকা হলেন নুতন এবং নায়ক কে? বিমলদা বললেন, “সুনীল দত্ত।”
ব্যস, সুনীল দত্ত মোহন ষ্টুডিওতে এসে হাজির। হাস্যমুখ, আন্তরিক, আকাশের মতো উদার-হৃদয়, মুখ আর বুক যাঁর একরকম।
“নবেন্দু দাদা, লো ড্যাম – সে আ গঁয়ে।” বললেন সুনীল দত্ত।
“আও আও সুনীলজি” – হাত বাড়ালাম।
হাত ধরে সুনীল প্রশ্ন করলেন, “দাদা, ইয়েহ ‘সুনীলজি কৌন হে’?”
আমি বললাম, “তুমি সুনীলজি – তুম সুনীল – সুনীল দত্ত। “
হাহা হাসি এবং আলিঙ্গন।
যথাসময়ে ‘সুজাতা’ ছবি তৈরী শুরু হল, রিলিজ হল, বিমলদার এক কীর্তি বলে খ্যাতি অর্জন করল। অভিনেত্রী নূতনের মর্মস্পর্শী অভিনয় এবং সুনীল দত্তের স্বাভাবিক ও আন্তরিকতাপূর্ণ অপূর্ব অভিনয়ের সুখ্যাতি দর্শকদের মুখে মুখে। সুজাতার সিলভার-জুবিলি উৎসবে দেখা হল সুনীল দত্তের সঙ্গে। সঙ্গে নারগিস।
“কংগ্র্যাচুলেশনস সুনীল দত্তজি” –
“দাদা, ‘সুনীল দত্তজি’ কে? কোন ব্যক্তি?”
আমি হেসে বললাম, “তুমি, ওহে তুমি সুনীলজি, সরি সুনীল, সুনীল” –
হাসি এবং আলিঙ্গন। নারগিসের হাততালি।
তারপর দীর্ঘকাল দেখা হয়নি। অনেক জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, ফাল্গুন আর চৈত্রেরা অতিক্রান্ত হল, কিন্তু সুনীল দত্তের সঙ্গে দেখা হয়নি। কিন্তু নানা সংবাদপত্রে, সিনেমার ম্যাগাজিনে সুনীল দত্তের ছবি দেখেছি। তাঁর নানা ছবির কথা, অভিনয়-প্রতিভার কথা, সিনেমা নিয়ে পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টার কথা সবই জানতে পারতাম। তারপরে তাঁর নারগিসকে হারানোর কথা জানলাম, ক্যান্সার রোগে মৃত্যু হয়েছে নারগিসের। প্রিয়তমার শোকে মুহ্যমান হয়েও স্ত্রীর সেই কালব্যাধিকে নির্মূল করার চেষ্টায় ক্রমেই এক কিংবদন্তী হয়ে উঠলেন তিনি। কিন্তু দেখা আর হয়না। শুধু কাগজে পড়ি এবং লোকমুখে শুনি যে সুনীল দত্ত কংগ্রেস তথা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, উদ্দেশ্য দেশবাসী তথা দেশের সেবা করা। কাগজে পড়ি তিনি দাঙ্গা-বিরোধী পদযাত্রা করেছেন, তাঁর প্রতিভাধর ও মাদকাসক্ত পুত্রকে সুস্থ ও সুযোগ্য করার জন্য কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু সর্বদাই হাস্যমুখ, সমদর্শী ও প্রেমিক একটি মানুষ।
হঠাৎ ১৯৯৮ সালে, বিমল রায় মেমোরিয়াল কমিটির এক বার্ষিক উৎসবে আবার দেখা হল সুনীল দত্তের সঙ্গে। ততদিনে তিনি লোকসভার মাননীয় সদস্য হয়েছেন কয়েকবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, বোম্বাইয়ের শেরিফও হয়েছেন একবার।
“কেমন আছেন দাদা?”, সুনীল হাসলেন।
আমি বললাম, “বয়স বাড়ছে দত্তসাহেব।”
সুনীল পরিহাসের সুরে বললেন, “বয়স বাড়ছে বলে আমি ‘দত্তসাহেব’ হয়ে গেলাম?”
গলা নামিয়ে বললাম, “না সুনীল, তোমার কত নাম যশ, তুমি জনতার নিঃস্বার্থ সেবা করে সর্বজনমান্য হয়েছ তাই অজ্ঞাতসারেই ‘সাব’ বেরিয়ে পড়েছে।”
সুনীল হেসে বললেন, “আর কখনো যেন তা না বেরোয়, প্রমিস?”
“প্রমিস সুনীলজি, সরি সুনীল” –
উচ্চকন্ঠে হেসে উঠে শুনি দত্ত আমার দু’হাত ধরেছিলেন তাঁর দু’হাতে।
সেই শেষ দেখা।
কাগজেই খবর পাচ্ছিলাম – আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন সুনীল, নিরলস ভঙ্গীতে সবার সেবা করে যাচ্ছেন। একজন স্বচ্ছমনা, হৃদয়বান, সমদর্শী ও বন্ধুবৎসল মানুষ, সাম্প্রদায়িক ঐক্যের মূর্ত প্রতীক, আকাশের মতো বিস্তৃত ও উদার তাঁর মালিন্যহীন হৃদয়। সেই বিরল মানুষটি, সবার কষ্ট দূর করার জন্য নিয়ত চেষ্টা করতেন যিনি তিনি কাউকে কোন কষ্ট না দিয়ে, এতটুকুও হৈ-হল্লা না করে, নিঃশব্দে কোন নতুন পদযাত্রায় রওয়ানা হলেন? কোন দিকে গেলেন?
আবার যদি কখনো কোথাও দেখা হয় তাহলে তাঁকে আর ‘জি’ কিংবা ‘সাব’ বলব না, বলব, “হ্যালো সুনীল” –
২৮শে মে, ২০০৫
সি – ৫৩০, লেক গার্ডেনস,
কলকাতা – ৪৫।
টেলিফোন – ২৪১৭ – ৬৮৬৫
সৌজন্যে: শ্রীমতী রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত
Comment here
You must be logged in to post a comment.