১।‘পদ্মমুখী ঝি আমার পরের বাড়ি যায়, খেঁদা নাকি বউ এসে বাটার পান খায়”।
নিজের মেয়ে যেমনই হোক, তার দোষ যেমন মায়েদের চোখে পড়ে না ঠিক তেমনি পরের মেয়ে যখন পুত্রবধূ হিসেবে আসে তখন তার দোষ গুলো আবার খুব সহজেই শাশুড়িদের চোখে পড়ে।
২। ‘ পাশের বাড়ি বিয়োলো গাই,
সেই সূত্রে পাড়াতো ভাই’।
যার সাথে সম্পর্কের কোন যোগ নেই
৩।‘ বাতাসে পাতিয়া ফাঁদ,
ধরে দিতে পারি চাঁদ’
দূরূহ কার্য সম্পাদন করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসকে কটাক্ষ করা।
৪।‘ হাত দিয়ে হাতি ঠেলা’
অসম্ভবকে সম্ভব করার বৃথা চেষ্টা।
৫।‘বিদ্যারত্ন মহা ধন,
যদি তা করো সাধন ‘।
বিদ্যা খুবই মূল্যবান ; যদি সঠিক বিদ্যা অর্জন করা যায় তবে তুমি সর্বধনের অধীশ্বর। সঠিক বিদ্যা অর্জনই সমাজের কল্যাণে লাগে।
৬।‘ দ্বার বন্ধ রেখে অবিদ্যারে রুখি,
বিদ্যা বলে – আমি তবে কেমন করে ঢুকি?’
যদি মনের দার উন্মুক্ত না থাকে, ম’ন যদি সংকীর্ণ হয় তাহলে প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করা যায় না।
৭।‘ ট্যাঁক খালি তো মুখ চুর চুর,
ট্যাঁক ভরা তো মন ফুরফুর’।
টাকা না থাকলে মনে ফুর্তি থাকে না পকেটে টাকা থাকলে মন হালকা থাকে।
৮।‘ গ্রন্থবিদ্যা আর পরহস্তে ধন,
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন’।
ধন-সম্পদ অন্যের হাতে থাকলে, প্রয়োজনে পাওয়া যায় না গেলে তার কোন মূল্য নেই শুধু গ্রন্থগত বিদ্যার কোন মূল্য নেই যদি সে বিদ্যা আত্মস্থ না হয় তাহলে তার ব্যবহার অসম্ভব।
৯।‘ যে বনে যাই
সে ফল খাই’।
বুদ্ধিমান ব্যক্তি অতি সহজেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে।
১০।‘ অতি সোদর, তিনদিন করবে আদর’।
যত প্রীতির সম্পর্কই হোক না কেন তার কাছ থেকে সীমার বেশি আদর কখনোই পাওয়া যায় না।
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here