১) গঙ্গায় ময়লা ফেললে
গঙ্গার মাহাত্ম্য যায় না
(নিন্দাবাদে মহতের মহত্ব নষ্ট হয় না)
২) গিন্নির উপর গিন্নীপনা
ভাঙা পিঁড়ের উপর আলপনা
(অনধিকারীর কর্তার উপর কর্তৃত্বফলানো)
৩) যত ঘর, তত দ্বার
(যেমনই কাজ হোক না, তা সিদ্ধ করার কোন না কোন উপায় আছে)
(উপায়হীন কাজ নেই)
৪) মা গুনে ঝি, গাই গুনে ঘি
বাপ্ গুনে বেটা, গাছ গুনে গোটা
(মায়ের স্বভাব যেরূপ, মেয়েও প্রায় সেইরূপ প্রকৃতির হয়। এবং বাপের স্বভাব যেরূপ পুত্রও প্রায় সেইরূপ স্বভাব পায়)
৫) বাজারে আগুন লাগালে
পীরের ঘর মানে না
(অসতের দলে পড়লে, সাধুকেও শাস্তি ভ্যগ করতে হয়)
৬) যত রাজপুত তত হাঁড়ি
কেউ যায় না কারোও বাড়ি
(রাজপুত জাতির খাওয়া দাওয়ার কঠিন নিয়ম, কেহ কাহারও হাতে খেতে চায় না। এজন্য সবাই ভিন্ন ভিন্ন হাঁড়িতে রেঁধে খায়
(এক দলের মধ্যস্থ লোক, সকলের মত ভিন্ন ভিন্ন হওয়া)
৭) আকাশে যত ঝড় ওঠে
গোয়ালে তত গরু ছোটে
(বিপদের আশঙ্কা থাকলে, পূর্বেই প্রস্তুতি নেওয়া ভালো)
৮) চৈত্রে কয়া ভাদ্রে বান
নরের মুন্ডু গড়াগড়ি
(যে বছর চৈত্র মাসে কুয়াশা, ভাদ্রে বন্যা হয়, সে বছর প্রচুর লোকের ক্ষয়ক্ষতি হয়)
৯) যদি বর্ষে অঘ্রাণে
রাজা যায় মাগনে
(অঘ্রানে বৃষ্টি হলে, পোকায় শস্য নষ্ট হয়, রাজ্যে অভাব দেখা দেয়)
১০) অজ্ঞানত শ্রেষ্ঠ দারিদ্র
(অজ্ঞানের সারা জীবন বৃথা যায়)
১১) আনন্দে যদি মধু পাই
তবে কেন পর্বতে যাই
(সহজে কিছু পেলে কেউ কষ্ট স্বীকার করতে চায় না)
১২) আগে সামলা ধাক্কা
পরে যাবি মক্কা
(আগে তো বাঁচো, পরে ভগৱানের নাম করো)
১৩) ঈশ্বর করেন কাম
মানুষের বদনাম
(আমরা যন্ত্র তিনি যন্ত্রী, যেমন চালান তেমনি চলি, সুতরাং কোন দোষ হলে সেটা তাঁরই দোষ)
১৪) খড়ম পায়ে গঙ্গা পাড়
( অসাধ্য সাধন করার ব্যর্থ প্রয়াস)
১৫) উপকারী গাছের ছাল থাকে না
(বাহ্যিক রূপ দেখে কোন কিছুর বিচার করা যায় না)

গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।