ইনি অন্য রবীন্দ্রনাথ; একই ব্যক্তি, সেই মহানুভব যাঁর প্রত্যেক সৃষ্টি শিক্ষিত বাঙ্গালীর আত্মাস্বরূপ কিন্তু তবুও তিনি ভিন্ন। প্রশ্ন ওঠে – ভিন্ন কেন? এই প্রবন্ধের লেখক কি দুষ্ট উদ্দেশ্যে বা সত্য বিকৃত করে বাঙ্গালীর আত্মপ্রমাণ ব্যক্তিত্বকে উপস্থিত করার দুঃসাহস দেখাতে ইচ্ছুক না বিশেষ কোন কারণ রয়েছে? বিনীত স্বরে তাই বলা ভালো – দুঃসাহস করে প্রাণের ঈশ্বরকে অবহেলা করার অর্থ মৃত্যুসম। কিন্তু এই প্রঙ্গটিই ভিন্ন; এবং তার একটিই কারণ – আলোচ্য বিষয় তাঁর স্বাজাত্যবোধ। এটি প্রত্যয়ের সাথেই বলতে হয়, বাঙ্গালীর নিজস্ব গুরুদেবকে কেন্দ্র করে সহস্র সহস্র পান্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ রচিত হলেও তাঁর ধর্ম (শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক নহে) ও স্বাজাত্যবোধ সম্পর্কে আলোচনা রয়ে গেছে অধরা। এই প্রসঙ্গটি উঠলেই বিদ্বজ্জন মহলে দেখা দেয় চাঞ্চল্য। যে রবীন্দ্রনাথের জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের (এপ্রিল ১৩, ১৯১৯) বিরুদ্ধে একক প্রতিবাদ নিয়ে বিশ্লেষণের অন্ত নেই; নেই প্রতিবাদস্বরূপ তাঁর Knighthood ত্যাগের ওজস্বিতা নিয়ে মুগ্ধতার শেষ বা গান্ধীজির তৎকালীন মন্তব্য “I do not want to embarrass the government now” নিয়ে বিতর্ক সেই শালপ্রাংশু ব্যক্তিত্বের স্বাজাত্যবোধ নিয়ে নিস্তব্ধতার কারণ কি?
তাঁর স্বাজাত্যবোধের মধ্যে কি ছিল নিজস্ব ঐতিহ্য, ধর্মমতের প্রতি এক সুগভীর শ্রদ্ধা? যা বর্তমান যুগের তথাকথিত, বহু যত্নে লালিত ধর্মনিরপেক্ষতা বা Secularism র মানদণ্ডে পাশ নম্বরও পেতে ব্যর্থ হয় সর্বদা? যে ঠাকুর পরিবার ১৮৬৭ সালের ‘হিন্দু মেলা’ র গঠনে ছিল অগ্রণী, ইতিহাসে যা আধুনিক যুগে স্বাজাত্যবোধ ও ব্রিটিশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রূপে গণ্য হয়, এবং এও বলা হয় এই মহা মিলন কেন্দ্র স্থাপিত না হলে Masculine Hinduism র সংজ্ঞা যা ন্যস্ত হল শেষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদে ছিল সর্বপ্রকারেই অসম্ভব তার অপেক্ষাকৃত এক কনিষ্ঠ সদস্যের ধর্মে মতি কি আশ্চর্যের। এক্ষণে বলা প্রয়োজন, ১৪/চৌদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতা ‘হিন্দু মেলার উপহার’ রচনা ও পথ করেন হিন্দু মেলার এক অধিবেশনে, যা প্রকাশিত হয় অমৃত বাজার পত্রিকায় (ফেব্রুয়ারী ২৫, ১৮৭৫)। এবং কতিপয় বিশ্লেষকের মতে, এই সময় তাঁর সুকুমার মনোবৃত্তিতে সর্বাধিক প্রভাব পড়েছিল তাঁত সেজদাদা, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় পুত্র শ্রী হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের। স্বল্পায়ু হেমেন্দ্রনাথ তাঁর সহজাত অনেক গুণের সাথে দেহসৌষ্ঠবে ছিলেন অসাধারণ, জুডো ও নিনিজিৎসুতে বিশেষ পারদর্শী।
যদি তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’ তে মনোনিবেশ করি তো বোধগম্য হয় তাঁর দেশহিতে সমর্পিত শৈশব। তাঁর নিজের কথায়, “ভোরে অন্ধকার থাকিতে উঠিয়া, লেংটি পড়িয়া প্রথমেই এক কানা পালোয়ানের সঙ্গে কুস্তি করিতে হইত।” এবং পালোয়ান ছিল হীরা সিং; পরবর্তীতে লাঠিখেলা ও জিমন্যাস্টিক সংযোজিত হয়েছিল। কিন্তু এও ঠিক যে তাঁর ভাগিনেয়ী সরলা দেবী চৌধুরাণীর সাথে বিবাদ হয়েছিল; সরলা কাশিতে বিশ্বেশ্বের সন্ধ্যারতি দেখে আপন মুগ্ধতা অকপট চিত্তে ছোটমামার কাছে প্রকাশ করলে রবীন্দ্রনাথ তিরস্কারের ছলে বলে ওঠেন, “সাকারের পূজা দেখলি!’ অন্যদিকে, “বৌ ঠাকুরাণীর হাট” উপন্যাসে মহারাজা প্রতাপাদিত্যের চরিত্রের যে কলঙ্কলেপন করা হয়, বিশেষত খুল্লতাত বসন্ত রায়ের নৃশংস হত্যার মাধ্যমে তাতে বাঙ্গালী হিন্দু সমাজের এক বড় অংশ রবীন্দ্রনাথের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে। যদিও সরলা দেবী চৌধুরাণীর অধিনায়কত্বে ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও ‘বীরাষ্টমী উৎসব’ বঙ্গের ক্ষাত্রবীর্যের ক্ষেত্রে এক প্রবল দিশারী হয়ে ওঠে। প্রকাশ্যে তার কোনপ্রকার বিরোধিতা প্রদর্শন করা থেকে রবীন্দ্রনাথ রয়ে যান অনুপস্থিত। দেশাত্মবোধককে কেন্দ্র করে কি কোন বিশেষ পরিবর্তন ঘটছিল তাঁর মনোজগতে?
তাহলে কি এই পরিবর্তন তাঁর মধ্যে সাধিত হল ভারতবর্ষে সামগ্রিকভাবে অনুপস্থিত ক্ষত্রবীর্যের অভাবের বোধে? যার বিনা নব সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ কার্যত প্রতিরোধহীন ও প্রায় প্রত্যেক দিনই বঙ্গের তারুণ্যের রক্তস্রোত বয়ে চলেছে প্রতিরোধে অথচ দেশবাসী নির্বিকার? নতুবা তাঁর বিখ্যাত ‘ শিবাজী উৎসব” এ রবীন্দ্রনাথ যেন তাঁর আপন, সকল নিষ্ঠা সমর্পন করলেন “….”একধর্মরাজ্যপাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত/বেঁধে দিব আমি।” – র ব্যাখ্যা কি। তারুণ্যের নির্ঘোষকে নিজস্ব রীতিতে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে লিখলেন “বন্দী বীর” যাতে উচ্চারিত হল সেই প্রাণের ডাক “এসেছে সে এক দিন/লক্ষ পরানে শঙ্কা না জানে/ না রাখে কাহারো ঋণ।……জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য,/চিত্ত ভাবনাহীন।” তিনি কি আহ্বান জানালেন সেই অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি, তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যে মাতৃভূমি ও জননীই সর্বশ্রেষ্ঠ? সেই কোনকালে শ্রীরামচন্দ্রের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী” যেন আবার ঝংকৃত হল বাঙ্গালীর অন্তরে।
কে অস্বীকার করতে পারে “রীতিমতো নভেল” – র প্রথম পরিচ্ছেদে সেই তেজঃদৃপ্ত অভিব্যক্তি!?
“………..প্রথম পরিচ্ছেদ:
‘আল্লা হো আকবর’ শব্দে রণভূমি প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। একদিকে তিনলক্ষ যবনসেনা, অন্যদিকে তিনসহস্র আর্যসৈন্য। বন্যার মধ্যে একাকী অশ্বত্থবৃক্ষের মতো হিন্দুবীরগণ সমস্ত রাত্রি এবং সমস্ত দিন যুদ্ধ করিয়া অটল দাঁড়াইয়া ছিল কিন্তু এইবার ভাঙিয়া পড়িবে, তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে। এবং সেইসঙ্গে ভারতের জয়ধ্বজা ভূমিসাৎ হইবে এবং আজিকার ঐ অস্তাচলবর্তী সহস্ররশ্মির সহিত হিন্দুস্থানের গৌরবসূর্য চিরদিনের মতো অস্তমিত হইবে।
হর হর বোম্ বোম্! পাঠক বলিতে পার, কে ঐ দৃপ্ত যুবা পঁয়ত্রিশজন মাত্র অনুচর লইয়া মুক্ত অসি হস্তে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর করনিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শত্রুসৈন্যের উপরে আসিয়া পতিত হইল? বলিতে পার, কাহার প্রতাপে এই অগণিত যবনসৈন্য প্রচণ্ড বাত্যাহত অরণ্যানীর ন্যায় বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল?— কাহার বজ্রমন্দ্রিত ‘হর হর বোম্ বোম্’ শব্দে তিনলক্ষ ম্লেচ্ছকণ্ঠের ‘আল্লা হো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হইয়া গেল? কাহার উদ্যত অসির সম্মুখে ব্যাঘ্র-আক্রান্ত মেষযূথের ন্যায় শত্রুসৈন্য মুহূর্তের মধ্যে ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়নপর হইল? বলিতে পার, সেদিনকার আর্যস্থানের সূর্যদেব সহস্ররক্তকরস্পর্শে কাহার রক্তাক্ত তরবারিকে আশীর্বাদ করিয়া অস্তাচলে বিশ্রাম করিতে গেলেন? বলিতে পার কি পাঠক।
ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুবনক্ষত্র। ..”
১৯৩০র দশকে অবিভক্ত বঙ্গের দ্রুত পরিবর্তনশীল সাম্প্রদায়িক প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষাপটে স্বাজাত্যবোধের এক নতুন অধ্যায় দৃষ্ট হয়। এবং এতে ব্রিটিশের নিজস্ব স্বার্থ যে মুসলমান সমাজকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছিল, এ সম্বন্ধে কোন মুক্তমনা উদারপন্থী বিশ্লেষকও অস্বীকার করতে পারেন না। ১৯৩২ সালের ১৭ই আগস্টে ঘোষিত Communal Award বা সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা যে অশুভ ছায়া ফেলে সমগ্র মঙ্গে তার প্রথম ও প্রধান বলি হয় বাংলার হিন্দুরা। যে বাঙ্গালী হিন্দু কার্যত challenge করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে এবং শত দুঃখ ও আত্মত্যাগের মোড় দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে বলিষ্ঠতর করেছিল প্রতি মুহূর্তে তাকে সামগ্রিকভাবে সর্বস্বান্ত করার সুযোগ এই পেল ব্রিটিশ সরকার। বঙ্গের মুসলমানদের জন্য ১২৫টি আসন নির্ধারিত হলে, হিন্দুর ভাগ্যে থাকলো মাত্র ৮০টি আসন (তফসিলি-সহ) এবং ক্রমঃশ তা এই ভূখণ্ডে হিন্দুকে একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করবে, মুসলিম শাসনকে চিরস্থায়ী করবে – এটি আর কোন ভয়ানক সম্ভাবনা রইল না, এক অস্তিত্বজনিত সঙ্কটের সত্যে পরিণত হল অচিরেই। ১৯৩২ সালের সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অঙ্গীভূত হয়ে ১৯৩৬ সালের নির্বাচনে প্রয়োগ হতে যাচ্ছে সেই সন্ধিক্ষণে হিন্দু সমাজ অনুভব করল তার আসন্ন সর্বনাশ। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ জুলাই ১৪, ১৯৩৬/আষাঢ় ৩০, ১৩৪৩ হিন্দু সমাজ এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান করে কলকাতার বিশালাকায় টাউন হলে, বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের পৌরোহিত্য। এটি অবশ্যই স্মরণে রাকা প্রয়োজন, ইতিমধ্যেই তখন বঙ্গের হিন্দুর জীবিকা, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, মেধা, ধর্ম, সংস্কার, নারীর নিরাপত্তা প্রবলভাবে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে।
যে সকল বরেণ্য ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বর্ধমানের রাজাধিরাজ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডঃ নীলরতন সরকার, শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীমতী সরলা দেবী চৌধুরাণী, শ্রী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, শ্রী তুষারকান্তি ঘোষ, শ্রী রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় শ্রী হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, শ্রী পদ্মরাজ জৈন, শ্রী দেবেন্দ্রলাল খাঁ, শ্রী নির্ম্মল চন্দ্র চন্দ্র, শ্রী সনৎ কুমার রায়চৌধুরী প্রমুখ।
অত্যন্ত অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে বলেন, “বহুকাল পর আজ আমি রাজনৈতিক সভায় যোগদান করিলাম। প্রথমে এই সভায় যোগ দিতে আমি ইতস্ততঃ করিয়াছিলাম; কিন্তু স্বদেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া আমি আপনাদের আহ্বান উপেক্ষা করিতে পারিলাম না…।” “……..কোনও কোনও সম্প্রদায়কে তাহাদের প্রাপ্যাতিরিক্ত অধিকার দানের ব্যবস্থায় এই সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার অনর্থ আরও বৃদ্ধি পাইয়াছে। স্বকীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য গবর্নমেন্ট বিভিন্ন তুলাদণ্ডে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে পরিমাপ করিয়াছেন। আসন্ন শাসনতন্ত্রে নিগূঢ় কারণে হিন্দুদের উপরই সর্বাধিক অবিচার করা হইয়াছে, সেই কারণ এস্থলে বলা নিরর্থক। বাঙ্গলার হিন্দুরা সংখ্যালঘিষ্ঠ সম্প্রদায়; সুতরাং তাহাদের স্বার্থরক্ষার জন্যই বিশেষ ব্যবস্থা করা আবশ্যক, কিন্তু তৎপরিবর্তে তাহাদিগকে তাহাদের প্রাপ্য অপেক্ষাও কম সদস্যপদ দিয়া অপর সম্প্রদায়কে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হইয়াছে। ইহাতে প্রকারান্তরে হিন্দুদিগকে হয়তো প্রশংসাই করা হইয়াছে, কিন্তু অদ্ভুত রাজনৈতিক গণিত শাস্ত্রানুযায়ী যে ব্যবস্থায় এক সম্পদায়কে চিরতরে অপর সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিরপেক্ষ করিয়া তুলিয়া উহাকে অপর সম্প্রদায়ের উপর পীড়নের অধিকার দিয়াছে, তাহা হিন্দুদের উপর প্রকাশ্যে আক্রমণ ব্যতীত আর কিছু নহে। ”
“মহাযুদ্ধের পরবর্তী এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ার মধ্যে আমার জন্ম নহে, ভিক্টোরিয়া যুগের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতার প্রতি প্রগাঢ় নিষ্ঠার আবহাওয়ার মধ্যেই আমার শিক্ষা, সংস্কৃতি অর্জন। আজ আমরা পাশ্চাত্যের সর্বত্র অত্যাচার, উৎপীড়ন ও নিপীড়নের তান্ডব প্রত্যক্ষ করিতেছি – বিশ্বমানবের দুঃখকষ্টের প্রতি অন্যায় অবিচারের প্রতি পাশ্চাত্যের নিদারুণ উপেক্ষা প্রত্যক্ষ করিতেছি; তথাপি এখনো মানবতার আদর্শের প্রতি পাশ্চাত্যের মজ্জাগত আকর্ষণ বিষয়ে আমার মনে দৃঢ় আস্থা বিদ্যমান।”….
স্বাজাত্যবোধের শ্রেষ্ঠতর নিদর্শন আর কি হতে পারে? প্রণতি বাঙ্গালীর সেই প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি রবীন্দ্রনাথের প্রতি।
(প্রবন্ধটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের প্রখ্যাত বাংলা সংবাদপত্র ‘দৈনিক প্রান্তজ্যোতি’ – তে)
শ্রী অনিমিত্র চক্রবর্তী হলেন একজন সাংবাদিক ও বিভাগীয় লেখক (columnist) এবং বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের এক সক্রিয় কর্মী।
অনবদ্য অনিমিত্র দা। 👌
It was great to read this illuminating article. As I have said separately, in a tweet, that it is informative and and is written in a language that I like. Bengali language as practiced in popular magazines and newspapers are a disgrace.
ভাল হয়েছে।