এত বড় দেশে আমাদের জীবন শৈলী বড় বিচিত্র। রংবেরঙের আলপনা ভরপুর সেই জীবনশৈলীর অনেক কিছু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, কখনো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে না চলতে পারার জন্য সেকেলে তকমা পায়। তারপর আস্তে আস্তে মানুষের স্মৃতিতে ধুলো জমতে থাকে। একসময় অতি প্রয়োজনীয় সেই বস্তুটি কখন যেন চোখের নাগালে চলে যায়। হয়ে যায় বড় অপ্রয়োজনীয়। আর তারপর সেই বস্তুটা ভিজে অভিমানী চোখে আরো দূরে যেতে থাকে। হারিয়ে যায় তার সঙ্গে সম্পর্কিত সব গল্পগাথা, সব প্রয়োজনীয়তা, মানুষের নির্ভরতা, সবকিছু। এই ‘জীবনশৈলী’র মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি যাতে আমাদের হারিয়ে যাওয়া অথচ এক সময় যা অতি প্রয়োজনীয় ছিল তাকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলতে। আজকের জীবন শৈলীতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সমাজের সামগ্রিকভাবে উপকার হবে। হয়তো খুব নগণ্য কিন্তু অর্থনীতিতেও তার প্রভাব থাকবে। এবারের জীবনশৈলীর বিষয়বস্তু ‘শিলনোড়া’।
শিলনোড়া বলতে আমরা দুটো পাথরের টুকরোকে বুঝি। একটা সাধারণত আয়তাকার সমতল চ্যাপ্টা হয় আর একটা বেলন আকৃতির হয়, একটু সরু গোল যার উপর দুটো হাতের মুঠো অনায়াসে রাখা যায়। আয়তাকার পাথরের নানা সাইজ হয় যা সাধারণত সংসারে কটা মাথা, কত রান্না হয় এসব ভেবে কেনা হত, একে শিল বলা হয়। আর বেলন আকারের পাথরকে নোড়া বলা হয়। নোড়া মোটামুটি এক সাইজের হয়। শিলের উপর নোড়া দিয়ে ঘষে ঘষে মসলা পেষা হত। অনেকে শিলবাটা বা শিলপাটাও বলেন। হরিয়ানা, গুজরাট এমন অনেক রাজ্যেই শিলনোড়ার ব্যবহার আছে তবে সেখানে বাটার জন্য যে নোড়া ব্যবহার করা হয় সেটা গোল নয় একটা ত্রিকোণাকার পাথর। আমি নিজে ব্যবহার করে দেখেছি গোলাকার পাথর দিয়ে পিষতে বেশি সুবিধা হয়, হয়ত আমাদের অভ্যাসের জন্য।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই শিলনোড়ার ব্যবহার হয়ে আসছে। মনে আছে একবার রাজস্থানের সরিস্কা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে জঙ্গল সাফারির সময় গাইড একটা বিশাল বড় পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে বলেছিল যে সেই পাথর নাকি মহাভারতের অজ্ঞাতবাসের সময় ভীম শিলনোড়া হিসেবে ব্যবহার করেছিল। আর তার পাশে ছিল ঝরনার জল। সেই জল পাহাড়ের গা বেয়ে বয়ে যায় যদিও উৎসটা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। ভীষণ সুন্দর মিষ্টি সেই জল আর নোড়ার মত পাহাড়ের আকার, গাছপালা নেই, একটু ন্যাড়া, একটু কালচে রঙের, মনে হবে যেন খাপছাড়া ভাবে এক খন্ড কোন পাথর বসিয়ে দিয়ে গেছে কেউ। অর্থাৎ তখনও রান্নার কাজে ব্যবহৃত মসলা পেষার জন্য শিলনোড়ার ব্যবহার ছিল।
আরেকটা ঘটনার কথা মনে পড়ে। খুব ছোট তখন। হুগলী জেলার রাজবলহাটের শীল বাড়িতে একবার গিয়েছিলাম তাদের বিয়েবাড়ি ছিল। শীল বাড়ি তাদের তিনটি বিশাল বিল্ডিং নিয়ে প্রচুর জ্ঞাতিগোষ্ঠী নিয়ে জমজমাট পরিবার ছিল। অথবা সেই সময়ে বিয়ে বাড়ির জন্য জমজমাট ছিল। যাই হোক সেখানে এক আশ্চর্য শিলনোড়া দেখেছিলাম। প্রকাণ্ড সাইজের একটা পাথর নিচে রাখা আছে মেঝের উপর আর নোড়া আছে অনেকগুলো। সবাই বসে যে যার মত আসছে, মশলা পিষছে, চলে যাচ্ছে, এতটাই বড় সেই পাথর। আরেকটি বাড়িতে দেখেছিলাম কয়েক পুরুষের সেই শীল ব্যবহারের ফলে তার মাঝখানের অংশটায় ঠিক ডোবার মত গর্ত হয়ে গেছিল। কিন্তু পাঁচ ছয় পুরুষ বা তারও আগের পুরনো জিনিস বলে তাকে কেউ সরিয়ে নতুনের কথা ভাবে নি। আরেকবার কলকাতার একটা বিয়ে বাড়ীতে শিলনোড়ার ব্যবহার দেখেছিলাম। বর চট্টগ্রাম ও কনে ঢাকা ও হুগলীর মিক্স ছিল। সেখানে বিয়ের আসরে শিলনোড়া রাখা ছিল, পায়ে করে ঠেলার একটা স্ত্রী আচার ছিল যা সবটা ঠিক মনে নেই। তবে আমাদের বাড়িতে শিলনোড়ায় পা দেওয়া অসম্ভব ছিল কারণ তাকে রীতিমত পুজো করা হতো।
আমি ছোটবেলাতেও দেখেছি প্রতিটা বাড়িতে তখন শিলনোড়া ব্যবহার অপরিহার্য ছিল। সকালবেলায় রান্নার সময় মশলা বাটা বেশ একটা পর্ব ছিল। একটা বাটিতে জল, ছোট ছোট বাটিতে বিভিন্ন রকমের মশলা, আর একটা বড় প্লেট তাতে বেটে বেটে মসলাগুলো তুলে রাখা হতো। অনেকের বাড়িতেই দেখেছি ভারি শীল হবার জন্য ধুয়ে মাটিতেই পড়ে থাকতো। তাকে তুলে রাখা হতো না বা বারবার তোলা নামানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু যাদের ছোট শিল ছিল তাদের তুলে রাখার সিস্টেম ছিল। শিল পুজোর কথা বলছিলাম, সরস্বতী পুজোর দিন যে রান্না হয়, শীতলা ষষ্ঠীতে তা খাওয়ার চল। শীতলা ষষ্ঠীতে শিলের ব্যবহার একদম নিষিদ্ধ। পঞ্চমীর রাত্রে রান্নার পরে রাত্রিবেলা শিলনোড়াকে মুছে ধুয়ে পরিষ্কার করে নতুন সাদা কাপড় হলুদ জলে চুবিয়ে তাকে ঢাকা দেওয়া হয়। আর শিলকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার উপর সিঁদুরের মঙ্গল চিহ্ন এঁকে জোড়া কুল, জোড়া বাঁশপাতা, জোড়া সীম, জোড়া মটরশুঁটি, ফুল আর গোটা সিদ্ধ দিয়ে মা শীতলার পুজো করা হয়। গ্রাম বাংলায় পক্স থেকে বাঁচতে এই লৌকিক দেবীর পুজো হয়। আসলে পুজোর মধ্যে আমাদের সমাজে এই সব নিত্য অপরিহার্য বস্তু দেবত্বে উত্তীর্ণ করার মধ্যে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, অপরিহার্যতা বোঝানোর একটা উপায় ছিল। যে কোন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসকে একদিন বিশ্রামে রাখা হয়। তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় আজকের আধুনিক জীবনে আমরা একে মেইনটেনেন্স বলতে পারি। প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় যাকে তাকে একদিন সম্পূর্ণরূপে বিশ্রাম দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ সুতরো করে শুকনো রাখা হয়। আসলে প্রাচীন যুগে আগেকার দিনে এভাবেই সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার প্রচলিত পদ্ধতি ছিল যা লোকাচার হিসেবে পালিত হতো। এই ধরনের লোকাচারকে আমি কখনো কুসংস্কার বলতে রাজি নই। এরা অত্যন্ত যথোপযুক্ত সংস্কার যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন শৈলী কে সংক্রমণের হাত থেকে দূরে রাখার জন্য শত যত্নশীল ছিল।
কিন্তু এহেন শিলনোড়া ধীরে ধীরে অপসৃয়মান হয়ে গেল। এরপর আমাদের জীবনে এলো গুঁড়ো মশলার রমরমা। হলুদ গুঁড়ো মনে হয় প্রথম গুঁড়ো করে বিক্রি শুরু হয়েছিল কারণ প্রতিদিনের শুকনো হলুদ বাটা নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন কাজ ছিল। ভারতীয় রান্নায় হলুদের ব্যবহার অতি প্রাচীন এবং অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। কাঁচা হলুদ বাটা সোজা হলেও শুকনো গোটা হলুদ বাটা ততটাই কঠিন। ধীরে ধীরে বাঙ্গালীর রান্নাঘর ভরে যেতে থাকলো নানা রকম গুঁড়ো মশলায়। শিলনোড়ার ব্যবহার আস্তে আস্তে কমতে থাকল। তারপর এল আদাবাটা, রসুনবাটা, পোস্ত বাটা, সরষে বাটা। অর্থাৎ রান্নার যতরকম উপকরণ হতে পারে পেঁয়াজ বাদে আমরা সব কিছুই আমাদের হাতের কাছে রেডিমেড পেতে থাকলাম। শিলনোড়ার ব্যবহার এভাবে ধীরে ধীরে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল। আজকে গ্রামে এখনো শিলনোড়া পাওয়া গেলেও শহরাঞ্চলে কটা বাড়িতে আমাদের শিলনোড়া ব্যবহৃত হয়? বাটা মশলার জন্য আমাদের কাছে মিক্সি আর গুঁড়ো মশলার জন্য রেডিমেড প্যাকেটের মশলার ব্যবহারে রান্নার পদ্ধতি অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকে নারী-পুরুষ সবাইকেই অর্থনৈতিক কারণে বাইরে বেরোতে হয় বলে রান্নার জন্য এত সাত সতেরো ঝামেলা করার সময় সত্যিই আমাদের কাছে বিলাসিতা। অতএব ইনস্ট্যান্ট আয়োজনের বাহুল্য বাড়বে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু তার পরেই মনে হয় শিলনোড়া তো শুধুমাত্র রান্নার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। খুব সামান্য হলেও এর সঙ্গে জুড়ে ছিল একটা ছোট্ট অর্থনৈতিক যোগ। শিলনোড়া যারা তৈরি করত সেই সব মিস্ত্রিরা আজকের দিনে সম্পূর্ণরূপে কর্মহীন। তারা অন্য জীবিকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। আরেক শ্রেণী ছিল যারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে অদ্ভুতু সুরে বলতে বলতে যেত ‘শিল কাটা শিল কাটা’। পাথরের শিলনোড়া একদম সম্পূর্ণ সমতল ও মসৃন হয়ে গেলে মশলা বাটা সম্ভব নয়। সেজন্য ছেনি হাতুড়ি দিয়ে তাকে কেটে কেটে অমসৃণ করা হতো। আর এই শিলকাটা বলে একটা সম্প্রদায় ছিল যারা খুব সামান্য টাকার বিনিময় ছেনি হাতুড়ি দিয়ে কেটে দিয়ে যেত। কত রকম ডিজাইন হত আবার। শিলের ওপর কোন নকশা থাকবে জিজ্ঞাসা করত, মাছ হবে না পাখি। মাছ নকশা দেওয়া শিল আমিও ব্যবহার করেছি। সেই কাটার পরে শিল খুব ভাল করে ধুতে হতো কারণ তাতে পাথরের কষ বের হতো, নাহলে বাটা মশলার রংটা কালচে হয়ে যেত। শিল সাধারণত কালো পাথরের হলেও লাল পাথরেরও পাওয়া যায়।
আমাদের সময় বাঁচানোর তাগিদে গুঁড়ো মশলা দিয়ে বা ইনস্ট্যান্ট বাটা মশলা দিয়ে রান্নার প্রভাবে অনেক রান্নার স্বাদের যে পরিবর্তন হয়েছে একথা অস্বীকার কেউ করতে পারবেন না। আদা-রসুন বাটা বা অন্যান্য বাটা মসলা যেগুলো প্যাকেটজাত করে বিক্রি হয় সেগুলোকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য যে রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়, তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে সেটা যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সঙ্গে রয়েছে স্বাদের তারতম্য বিশেষ করে সরষে বাটার জন্য শিলনোড়ার কোন বিকল্প হতে পারে না। ধনেপাতার চাটনি শিলনোড়া করলে তার স্বাদ কোন ভাবেই মিক্সিতে আসে না। এমনকি জিরে, ধনে বাটা ও গুঁড়োর রান্নার মধ্যে এত পার্থক্য যে ভাবাই যায় না।
এছাড়া শিলনোড়ার সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসুত্র রয়েছে। আজকের দিনে আমরা যেভাবে ফিটনেস সচেতন, স্বাস্থ্যসচেতন সে ক্ষেত্রে শিলনোড়াকে আমাদের স্বাস্থ্যসচেতনতার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিলনোড়ায় মশলা পিষবার সময় একটু উঁচু জায়গায় বসলে সুবিধা হয় বলে পিঁড়ি ব্যবহার করা হয়। মশলা বাটার জন্য প্রচুর প্রেসার দিতে হয়। যার ফলে হাতের পেশী, পেট, পীঠ যথেষ্ট সচল থাকে। আর রান্নার যে স্বাদ আমরা পাই তা অতুলনীয়। আসুন সবাই আমরা আবার নতুন করে পুরানো কিছু জিনিসের প্রচলন করে নিজেদের স্বকীয়তা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। খুব ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগে পুরনো জীবনের অতি প্রয়োজনীয় যা আজকের দিনেও সমান গুরুত্বপূর্ণ, আমরা তাকে একেবারে বাতিলের দলে না ফেলে তাকে অত্যাধুনিক মডিউলার কিচেনে স্থান দিতেই পারি।হয়তো প্রতিদিনের দৈনন্দিন তাড়াহুড়োর জীবনে শিলনোড়া ব্যবহার সম্ভব না হলেও ছুটির দিনগুলোয় শিলনোড়া ব্যবহার করাই যায়। সকাল বেলায় যখন মর্নিং ওয়াক, জিম বা অন্যান্য এক্সারসাইজ এর জন্য সময় বার করতে পারছি, তখন দশ মিনিট শিলনোড়ার পিছনে খরচ করলে, তাতে শরীরের ওয়ার্কআউট যেমন হয়, ঠিক তেমনি খাঁটি বাটা মশলা দিয়ে রান্নার অভূতপূর্ব স্বাদ আমরা পেতে পারি। আর শিলনোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষের রোজগারের পথ প্রশস্ত হোক। টিকে থাক শিলকাটা সম্প্রদায়।
প্রত্যেককে একটু ভাবতে অনুরোধ করি, নিজেদের জীবন শৈলী নিজেদেরকেই সংরক্ষণ করতে হবে। হারিয়ে ফেলা খুব সহজ কিন্তু টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক সংগ্রাম আর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু টিকে থাকা জীবনের আরেকটা নাম। হারিয়ে যেতে দেওয়ার মধ্যে কোন গৌরব নেই। হারিয়ে ফেলার মধ্যে কোন অহংকার নেই। হারানোর মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই। কিন্তু টিকিয়ে রাখা মধ্যে আছে শিকড়ের খোঁজ। তাঁর নিজস্ব ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার এক অবিরাম প্রয়াস। সবাই মিলে ছোট্ট ছোট্ট পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে পারলে সমাজ এগোবেই। আমরা নিজেদের বাড়ি থেকে যদি শিলনোড়ার ব্যবহার শুরু করি তাহলে নিজেরাই অনুভব করতে পারব। আসুন না আঁকড়ে ধরি পুরানো কিছু জীবন শৈলী আমাদের তাগিদে। শুরু হোক শিলনোড়ার ব্যবহার। আবার ফিরে আসুক পুরনো রান্নার স্বাদ। আর সেইসঙ্গে গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, মফস্বলে কোলাহল মুখর কোন রাস্তা অথবা নির্জন কোন সরু গলি, আবার আগের মতন আওয়াজ উঠুক ‘শিলকাটা শিলকাটা’।
দীর্ঘদিন ব্লগিং, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত, কলামিস্ট এবং লেখিকা। ভারতের প্রাচীন গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ‘বাঙ্গালা আবার ভারত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে’ এই বিশ্বাসে শিকড় খোঁজার চেষ্টায় ব্রতী।
Comment here