১) ঢের খাবে তো
অল্প খাও
(বেশিদিন বাঁচতে চাইলে মিতহারী হও)
২) সর্ব দোষ হবে গোরা \
(দেখতে সুন্দর হলে, তার কোন দোষ চোখে পড়ে না)
৩) মিষ্ট হাসিতে সৃষ্টি নাশ
(অনেকে মিষ্টি হাসি দিয়ে মন গলিয়ে পরে তার সর্বনাশ করে)
৪) মাজ ঘষ কর ক্ষয়
কাল কি কখনও গৌর হয়
(যতই চেষ্টা কর স্বভাব পাল্টায় না)
৫) মানুষের কুটুম এলে গেলে
গরুর কুটুম চাটলে চুটলে
(মানুষ যাওয়া আসা করলে আত্মীয়তা হয়, গরুরা পরস্পর গা চাটাচাটি করলে আত্মীয়তা হয়)
৬) মরে যদি সাতটা শকুনি
তবে হয় একটা ঘড় ব্যাপারী
(অতি নিকৃষ্ট ব্যক্তি বোঝাতে)
৭) ঘর জ্বালাই
পর ভালাই
(ঘরে অশান্তি টেনে এনে পরের কাছে ভালো হওয়া)
৮) শ্যাম রাখি না কূল রাখি
(দুকূল বাঁচানোর দায়)
৯) বড় গাছের তলায় বাস
ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ
(যদি কোন সময় বড়োলোকের ভালোবাসা হারাও তাহলে সর্বনাশ)
১০) ছিল ঢেঁকি হল শূল
কাটতে কাটতে নির্মূল
(বড় জিনিস কাটতে কাটতে ক্রমশ ছোট হয়)
১১) ষোল চাষে মুলা
তার আধা তুলা,
তারই আধা ধান
বিনা চাষে পান
(মুলার চাষ ষোল, তুলার চাষ আট,
চার চাষ ধান, বিনা চাষেই হয় পান)
১২) রাবার কালে নেইকো চাষ
ধানকে বলে দুব্বো ঘাস
(যে জিনিসের সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই,
সে জিনিস সম্বন্ধে হাস্যাস্পদ মন্তব্য করা)
১৩) মাছ মরেছে বিড়াল কাঁদে
শান্ত করলে বকে
বেঙের চোখে সাগর পাণি
দেখি সাপের চোখে
(মাছ মরেছে দেখে বিড়াল কাঁদছে, আর মাংসভোজী বক তাকে সান্তনা দিচ্ছে, ব্যাঙ মরেছে
বলে সাপ শোক প্রকাশ করছে, তার চোখের কোন থেকে সাঁতার দিতে পারা যায় এত জল
গড়াচ্ছে, শত্রুর বিনাশে কপট শোক প্রকাশ)
১৪) অভাগার গরু মরে
ভাগ্যবানের বউ মরে
(সংসারে মেয়েরা গরুর চেয়েও মূল্যহীন)
১৫) মন ভালো নয় তীর্থ করো
মিছে কাজে ঘুরে মর
(যার যার মন সংযত নয়, তীর্থ করা বৃথা)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here