১) পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ
দক্ষিণে ছেড়ে উত্তরে বেড়ে
বাড়ি করোগে পোতা জুড়ে
অর্থাৎ, বাড়ির পূর্ব দিকে পুকুর পশ্চিমে বাঁশ গাছ এবং দক্ষিণে খোলা জায়গা রেখে উত্তর দিকে সমস্ত বাস্ত ঘিরে বাড়ি করতে হয়।
২) পুরুষের দশ দশা কখনো হাতি কখনো মশা
অর্থাৎ পুরুষ কখনো অতিশয় দুঃখ কখনো বা যৎপরোনাস্তি সুখ ভোগ করে। পুরুষের অবস্থার নিয়ত পরিবর্তনশীল।
৩) পুরনো বসন ভাতি অবলা জনের জাতি
পুরনো কাপড় এবং স্ত্রীলোকের জাতি সমান।
পুরনো কাপড়কে যেমন অতি সর্তকতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়, একটু অসতর্ক হলে ছিঁড়ে যায়।
ত্রিলোকের জাতি ও ধর্মকেও সেইরূপ সাবধানে রক্ষা করতে হয়। উহারা সামান্য ত্রুটিতেই নষ্ট হতে পারে এবং একটুতেই কলঙ্কিত হয়।
৪) পুঁজি ভেঙে খেতে ভালো
ভেটেন গাঙ্গে যেতে ভালো
মূলধন ভেঙ্গে খাওয়া আপাতত খুব সুখের কেননা কোন কষ্ট নাই।সেই রূপ নদীর ভাটিতে নৌকো চালানোও খুব সহজ। পরিশ্রম নাই। কিন্তু ভাটির পর যখন উজানে আসতে হয় তখন যখন মূলধন ভাঙার হিসাব দিতে হয় তখনই বিশেষ কষ্ট।
৫) গম্ভীর অতি গম্ভীর মতি
উন্নত অঙ্গুলি দীঘল হাত
যেসব পুরুষ গম্ভীর প্রকৃতির হন তাদের বিচারবুদ্ধি গম্ভীর প্রকৃতির হয়।তারা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় এবং এদের আঙুলগুলো উন্নত অর্থাৎ সুন্দর প্রকৃতির হয়।
৬) অল্প ভোজন নিদ্রা ক্ষীণ
সেই পুরুষের সুখের দিন।
যেই পুরুষ স্বল্প পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করে এবং যার ঘুম সজাগ তারা সমাজে মান সম্মান প্রতিষ্ঠা অর্জন করে সুখে জীবন কাটায়।
৭) কাল কাটায় অলস মন
সেই পুরুষের নেই কো ধ’ন
কাজ না করে অলস ভাবে যে দিন কাটায় দারিদ্র তাকে গ্রাস করে। পৃথিবীতে পরিশ্রম করে বড় হতে হয় অলসতা শুধু দারিদ্রকেই ডেকে আনে।
৮) খুঁটির জোরে ভেড়া নাচে।
শক্তিমানের সাহায্যে শক্তি বৃদ্ধি হয়।
৯) অকর্মা নাপিতের ধামা ধরা খুর
অপটু লোকের বাহুল্য আয়োজন
১০) উকুনের দায় মাথা মুড়ানো
তুচ্ছ বিপদ গুরুতর হতে পারে
১১) বিয়ানী আউলিবাউলি
দুপুরে বাও
দিনে বলে খরানের ঘর যাও
সকালে মেঘলা আকাশ দুপুরে প্রবল বাতাস খরার লক্ষণ।
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here