ঝাঁকের কই ঝাঁকে যাক
জনৈক গোস্বামী রাগী ভৃত্যসহ শিষ্যবাড়ি যাচ্ছিলেন। শিষ্য বড় বড় কৈ মাছ এনে গুরুদেবের আহারের ব্যবস্থা করেছিল। গোস্বামী নিজে হাতে রান্না করে নিজের ভাত বাড়লেন এবং একদিকে ভৃত্যকেও খেতে দিলেন। তিনি নিজে ৮-১০ টি বড় বড় মাছ নিলেন আর ভৃত্যকে একটা মাত্র ডিম ছাড়া ছোট কই মাছ দিলেন। তা দেখে ভৃত্য রেগে গিয়ে কৈ মাছটা তুলে নিলো এবং ‘ঝাঁকের কই ঝাঁকে যাক’ এই বলে গোস্বামীর পাত্রে মাছটি ছুঁড়ে দিল; এর ফলে ভৃত্যের ভাগ্যেই সব মাছগুলো জুটলো।
সাজতে গুজতে ফিঙে রাজা
এক সময় বিধাতা পাখিদের সবাইকে বলেছিল ’কাল প্রভাতে যে আমার নিকট আগে উপস্থিত হবে তাকেই আমি রাজা করবো।’ শালিক প্রভৃতি পাখিরা প্রভাতের অনেক আগে থেকে বিধাতার নিকট যাবার জন্য সাজগোজ করতে লাগলো। কিন্তু চতুর ফিঙে সাজসজ্জা না করে শুধুমাত্র সমস্ত দেহে ঘনকালী মেখে তাড়াতাড়ি বিধাতার নিকট উপস্থিত হলো।
কার্যে অগ্রসর হবার আয়োজন করতে করতেই আর একজন বিনা আড়ম্বরে সেই কাজ হাত করে নেয়।
Comment here
You must be logged in to post a comment.