‘ঝি’র ছেলে হারামখোর’
এক দিদা তার দুই নাতিকে নিয়ে কুটুমবাড়ি যাচ্ছে মেয়ের ঘরের নাতিকে নিয়েছে কোলে ছেলের ঘরের নাতিকে হাত ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।মেঠো পথ ধরে একটা ঝাল পেরোতে হল,যেখানে ডোঙায় করে জলসেচ করা হয়।পার হতে হতে মেয়ের ঘরের নাতি বলল,এখন একটা শিয়াল বেরোলে বেশ হয় তোর ঠাকুমাকে খেয়ে খেলবে। অন্য নাকি তখন রেগে মেগে
চোখ পাকিয়ে বলল ‘ আমার ঠাকুমাকে শেয়ালে কেন খাবে, তোর ঠাকুমাকে শেয়াল খাক।’ \
তাই শুনে দিদা নাতিকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে বলল- ‘ঝি’র ছেলে হারামখোর।’ তারপর অন্য নাতিকে কোলে তুলে নিয়ে বলল, ‘ওরে আমার বেটার ছেলে’…
‘বেটার ছেলে ঘর আলো
মেয়ের ছেলে দেখতে ভাল’
‘পরের চাউল পরের ডাউল নদে করেন বিয়ে’
নদে ভা নবদ্বীপ নামে এক ব্যক্তি কোনো গৃহস্থের বাড়িতে কাজ করত।তার নিজের ঘরদোর কিচ্ছু ছিল না।কিছুদিন পরে তার বিয়ের সম্বন্ধ এল।গৃহস্থ তার বিয়ের ব্যায়ভার বহন করতে রাজি হলেন।বিয়েরaa সময় নবদ্বীপ নিজের পরিচিত অপরিচিত আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে খুব ঘটা করল।গৃ্হস্থ মনে মনে অত্যন্ত বিরক্ত হলেও অতিথিদের আপ্যায়ন করতে লাগলেন যথাযথভাবে। সবাই খেয়ে তৃপ্ত হয়ে, নবদ্বীপের ভূয়সী প্রশংসা করতে করতে চলে গেল।
পরের ধনে আনন্দসহকারে নির্বিকারচিত্তে যে কাজ করে চলে।
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here