খাপড়া যেমন তেমন
কপাল মাত্র গোঁড়া
চণ্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়ায়
রামা চড়ে ঘোড়া
চণ্ডীচরণ ও রামাচরণ নামে দুই সহোদর ছিল।চণ্ডীচরণ খুব মনোযোগ দিয়ে বিদ্যাশিক্ষা পড়তো কিন্তু রামাচরণ লেখাপড়ার দিকে যেত না। সে তাস খেলে গাঁজা খেয়ে ইয়ার্কি মেরে ঘুরে বেড়াতো।
ক্রমে চণ্ডীচরণ একজন কৃতবিদ্য লোক হয়ে উঠলো কিন্তু রামাচরণের কিছু হলো না।
এই সময় একজন মুদ্দাফরাসের অনুঢ়া কন্যার সাথে রামাচারণের প্রণয় হয়।মুর্দাফরাস জাতীয় হলেও মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দরী ছিল।তার বাবা প্রচুর ধনশালী এবং তার ঐ একমাত্র কন্যা সন্তান ছাড়া আর কোন সন্তান ছিল না।রামাচরণের সঙ্গে ওই মুদ্দাফরাসের মেয়ের বিয়ে হল এবং সে ঘর জামাই হয়ে প্রচুর ধনসম্পদের মালিক হলো।
কিছুদিন পরে রামাচরণ ঘোড়ায় চ’ড়ে যেতে যেতে দেখল যে তার ভাই মলিন বেশে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে তখন সে তার ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলল ‘লেখাপড়া যেমন তেমন কপাল মাত্র গোঁড়া/ অর্থাৎ লেখাপড়ায় যেমনই হোক একমাত্র কপালই সুখের মূল।
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here