আঙিনা

প্রবাদ প্রবচন

১. লোকেই লক্ষ্মী,লোকেই ঝক্কি

বাড়ীতে অধিক লোকের আনাগোনা থাকলে যেমন ঝামেলা বাড়ে,তেমনি লোকসমাগমেই সংসারে লক্ষ্মীশ্রী থাকে

২.কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খায়

অল্পেই কাতর/আলপাতালি

৩.মাছ ধুলে মিঠে
মাংস ধুলে শিটে

মাছ বেশী ধুলে মাছের স্বাদ ভাল হয়; মাংস বেশি ধুলে তার স্বাদ চলে যায়।

৪. ঢেঁশকেল দিয়ে কটক যাওয়া

সহজ কাজকে অতীব জটিল করে করা

৫. কাজ সেরে বসি
শত্রু মেরে হাসি

হাতের কাজ যেমন ফেলে রাখতে নেই, তেমনি শত্রুর শেষও রাখতে নেই

৬. ভিন্ন ভাতে বাপ পড়শি

ছেলের হাঁড়ি আলাদা হলে, তার ভাল মন্দ গোপন কোন খবরই জানা তখন বাপের পক্ষেও সম্ভব হয় না। বাপ তখন পড়শির মত হয়ে যায়।

৭. ভেক না হলে ভিখ মেলে না

যে যে কাজ করে,সেই কাজের উপযোগী বেশভূষা না করলে চলে না।

৮.পরের পুতে ধরে মাছ,জুলজুলিয়ে চাও
নিজের পুতে ধরে মাছ কবজি ডুবিয়ে খাও

অন্যের জিনিষ যতই হোক না, তা কেবল দুর থেকে দেখাই সার। নিজের হলে,তবেই তা ইচ্ছেমতো ভোগ করা যায়

৯.পরের ঘর কেমন
কুনোয় লাগলে যেমন

শরীরের মধ্যে কনুইতে লাগলেই সবচেয়ে বেশি লাগে,অথচ দেখা যায় না। পরের ঘর অর্থাৎ মেয়েদের শ্বশুরবাড়ির অভিজ্ঞতাও আসলে এই কনুইতে আঘাতের মতই

১০. আশা বৈতরণী নদী

আশা বৈতরণী নদীর ন্যায়।আপর পারে যাওয়া কষ্ট

১১.আনা বাঁধো,খানা খাও

পয়সা খরচ করলে,তবেই নেমন্তন্ন খাওয়া

১২. ছোটলোকের মরণ,ফুটকলাই আর মুড়ি
যাবার বেলায় ছড়িয়ে যায়,আসার সময় কুড়িয়ে খায়

যাদের নজর ছোট, তারা ভালমন্দ বাদ দিয়ে আজেবাজে জিনিষই কিনে খায়।যখন বেশি থাকে, তখন হেলাফেলা করে ছড়ায় আবার অভাব হলে সেই ফেলা জিনিষই কুড়িয়ে খায়

১৩.ছোট সরাটি ভেঙে গেছে,বড় সরাটি আছে
নাচ কোঁদ কেন বৌ, আমার হাতের আন্দাজ আছে

শাশুড়ী ছোট সরায় অল্প ভাত দেয়; তাই সেটা ভেঙে ফেলে বৌ ভাবল,বাড়ীতে আর মাত্র একটাই সরা, এবং সেটা বড়।তাই বড় সরায় সে বেশি ভাত পাবে। বৌ এর এই আনন্দ দেখে শাশুড়ী ভাবল, বৌ যতই বেশী ভাত পাবার আনন্দে খুশি থাক না কেন, আমার হাতের আন্দাজ যা আছে, তাইই যথেষ্ট। (অর্থাৎ হাতের মাপে ছোট সরার মত কম ভাতই উঠবে)

১৪. আমে ধান, তেঁতুলে বান

আমের ফলন ভাল হলে,ধান ভাল হয় আর তেঁতুল বেশি হলে সে বছর বন্যা হয়

১৫.সঙ্গী দেখে স্বভাব চেনা যায়

কে কেমন, তা বোঝা যায়,কাদের সঙ্গে তার মেলামেশা – তা দেখে

 

Comment here