১৯০২ সালের ১৮ই জুলাই ঢাকার এক বর্ধিষ্ণু ব্রাহ্ম পরিবারে বিপ্লবী মেজর সত্যগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক আবহাওয়াতেই তাঁর কৈশোর জীবন অতিবাহিত হলেও তিনি খুব কাছ থেকে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যলাভ করার সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষের ‘মুক্তিসংঘ’ –এর সঙ্গে বিপ্লবী সত্যগুপ্তর যোগাযোগ কৈশোর বয়সেই ঘটেছিল। ১৯২০ সালের শেষ পর্যায়ে জেল থেকে বেরিয়ে শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ তাঁর প্রতিষ্ঠিত গুপ্তসমিতি ‘মুক্তিসংঘ’-এর সদস্য চয়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং সংখ্যার পরিবর্তে গুণগত মান এবং মন্ত্রগুপ্তি তথা গোপনীয়তা ও নির্ভীক দৃঢ়চেতা নিষ্ঠাবান কর্মী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেন। পুলিশের নজরে আসা এবং জেল ফেরত বিপ্লবীদের যোগাযোগ এড়িয়েই গুপ্ত সমিতিকে নূতনভাবে এবং সারা দেশব্যাপী তাকে ছড়িয়ে দিতে তিনি উদ্যোগী হলেন। ঢাকায় শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষের অনুপস্থিতিতে শ্রী প্রমথ চৌধুরি [টেনুবাবু] প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ এড়িয়েই গুপ্ত সমিতির কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সম্ভবত ১৯১৭-১৮ সাল নাগাদ সত্য গুপ্ত ‘মুক্তিসংঘ’-এর কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর সাথে সেই সময় শ্রী রসময় শূর, শ্রী ভবেশ নন্দী, শ্রী প্রফুল্ল দত্ত, শ্রী মনীন্দ্র রায়, শ্রী সুরেন দত্ত, শ্রী প্রফুল্ল মুখোপাধ্যায়, শ্রী ধরণী ভট্টাচার্য, শ্রী সুরেশ চক্রবর্তী, শ্রী অনাথ আদিত্য, শ্রী তরণী চক্রবর্তী, শ্রী সুশীল কুশারী এবং শ্রী ভূপেন্দ্র কিশোর রক্ষিত-রায় প্রমুখ যুক্ত হলে ‘মুক্তিসংঘ’ সংঘ শক্তিতে ক্রমশ অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছিল। কলেজ জীবন থেকেই বিপ্লবী মেজর সত্যগুপ্ত বিপ্লবী সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর বিপ্লব গুরু ছিলেন মহান বিপ্লবী শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে আস্থাশীল হয়েই তিনি যেন ক্রমশই স্বামীজীর ‘ব্রহ্ম সত্য বুলেট সত্য; এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন।
সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে গান্ধিজী পরিচালিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অহিংস-অসহযোগ- আন্দোলনের ব্যর্থতা ক্রমশই তরুণ বিপ্লবীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। বাংলার গুপ্ত সমিতিগুলির মধ্যেও ব্রিটিশ স্বৈরতন্ত্র-এর বিরুদ্ধে নিখুঁত সামরিক কায়দায় বৈপ্লবিক আদর্শ প্রচার ও সংগঠিত স্বেচ্ছা সৈনিক বাহিনী গড়ে তোলা হয়। শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ ও তাঁর সহযোগীরা কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে একমাত্র সুভাষচন্দ্রের মধ্যেই আপোষহীন বৈপ্লবিক কর্মনিষ্ঠা প্রতক্ষ্য করেছিলেন। মেজর সত্যগুপ্ত লিখছেন “ আত্ম বিলোপন ও স্বার্থ বুদ্ধির মূল উৎপাটন করে আপন হৃদপিণ্ড আপনি উপড়ে ফেলে, আপন মস্তক আপনি ছিন্ন করে—ছিন্নমস্তারূপে [self-immolation] দেশের যুবশক্তি করবে আত্মত্যাগের গণ সমষ্টির হিতসাধনা—জাতীয় এই শিক্ষাই বিপ্লবী-বাংলার জাগ্রত যৌবন অভিযানের চরিত্ররূপ।“ আর এই চরিত্র-চিত্রই অঙ্কিত হয়েছে ইতিহাসের পটে, আত্মোৎসর্গের আন্দোলনে —ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী নিরবিচ্ছিন্ন ভারত সংগ্রাম যার ভিন্নতর রূপ দেখা গিয়েছিল ১৯২৮ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত। মেজর সত্যগুপ্ত লিখছেন বেঙ্গল ভলাণ্টিয়ার্স-এর মত, পথ ও প্রেরণার নাম সুভাষবাদ। সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে ও বিপ্লবী দলগুলির সহযোগিতা ও সাহচর্য্যে ১৯২৮ সালে বি.ভি.-রপত্তন।
বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স-এর বোর্ড-এ শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ জি-ও-সি সুভাষচন্দ্রের একান্ত সহযোগী সদস্য। বিপ্লবী দলগুলির মধ্যে তখন ‘যুগান্তর’ ও অনুশীলন প্রধান। যতীন দাস অনুশীলন নেতা শচীন্দ্রনাথ সান্যালের অনুগামী ছিলেন যিনি আবার ছিলেন রাসবিহারীর অনুগামী। বি.ভি.-র শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ, শ্রী শ্রীশ পাল, শ্রী হরিদাস দত্ত, শ্রী সত্যরঞ্জন বক্সী প্রমুখ নেতা ও কর্মীগণ সর্ব্বনিষ্ঠায় বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সকেই স্বীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।
১৯২৮ সালে যতীন দাস কলকাতায়; তখন আসন্ন কংগ্রেসের অধিবেশন ঘিরে তরুণ বিপ্লবীদের মধ্যে ভিন্নতর ভাবে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুবশক্তিকে সংগঠিত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। শ্রী হেমচন্দ্র ঘোষ যতীন দাস সহ বিপ্লবীদের মধ্যে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের আগেই সংগঠিত করলেন ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’-এর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। কলকাতার আশেপাশের বিভিন্ন মাঠ-পার্ক-রাস্তায় চলল সৈনিকদের সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ, অর্থাৎ শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার কঠোর অনুশীলন। মেজর যতীন দাস, মেজর সত্যগুপ্ত প্রমুখ নিরলসভাবে এই ভলান্টিয়ার্স বাহিনীকে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দান জুড়ে পূর্ণ সামরিক আবহের মধ্যে পরিবেষ্টিত করে কংগ্রেসের অধিবেশনকে ঘিরে রইল। পাশাপাশি চলল জাতীয় প্রদর্শনী। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এই অধিবেশনের বিশেষ ভলান্টিয়ার্সদের কথা প্রচারিত হল, গান্ধীজীর ব্যঙ্গোক্তি [children’s Pantomime] সত্ত্বেও। বি.ভি.-র ‘মাস প্যারেড’, মার্চ পাস্ট ও রুট মার্চ সারা ভারতবর্ষের কাছে বিস্ময়ের বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। মেজর সত্যগুপ্ত এই স্বেচ্ছা-সৈনিকদের নিয়মানুবর্তিতা ও কঠোরতাপূর্ণ অনুশীলনের কথা বলতে গিয়ে আমাদের জানাচ্ছেন, “স্বেচ্ছা-সৈনিকের শিবির জীবন এতটাই কঠোরতাপূর্ণ ছিল সে, কর্মঠ ব্রতী-সৈনিক অনিল রায়চৌধুরী কিছুদিন মধ্যে sunstroke-এ মৃত্যমুখে পতিত হন।”
মেজর সত্যগুপ্ত লিখছেন কলকাতায় কংগ্রেস অধিবেশন ঘিরে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স-এর এই সামরিক কায়দায় গণ-প্রতিরোধ বাহিনী গঠনের মধ্যে দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের এক নূতন হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল এবং ভারতবর্ষের প্রতি প্রদেশেই অনুরূপ Punjab Volunteers, Delhi Volunteers, Bombay People’s Battalion, N.W. Frontier Red Shirts প্রভৃতি স্বেচ্ছা-সৈনিক সংস্থা গড়ে ওঠে। মেজর গুপ্ত লিখছেন, পরবর্তীকালে এই ভলান্টিয়ার্স বাহিনীর প্রধান পরিচালকদের বিরুদ্ধে আলিপুর স্পেশাল কোর্টে পর পর রাজদ্রোহমূলক মামলা চলেছিল। এই অভিযুক্ত হবার কারণ ছিল, ভগৎ সিং। যতীন দাস দিবস উদ্যাপন, নিখিল ভারত রাজনৈতিক বন্দী দিবস উদ্যাপন-করা হয়েছিল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে-এর নেতৃত্বে।
শ্রী অমলেন্দু ঘোষ তাঁর স্মৃতিচারণায় বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স ও মেজর সত্যগুপ্ত-এর ভূমিকা উল্লেখ করে লিখছেন “ ১৯৩০ সালের ২৯-এ আগস্ট। আমি তখন ঢাকা কলিজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, ………… হেডমাস্টার বদিয়ুর রহমান ও স্কুলের টিচাররা একযোগে বেরিয়ে আসছেন এবং প্রত্যেকে যাঁর যাঁর ক্লাসে গিয়ে বললেন আজ আর ক্লাস হবে না। কোনো কথাবার্তা না বলে সোজা বাড়ি চলে যাও এদিক ওদিক যাবে না ……… ।“ বাড়ি আসার বেশ কিছু পর যথার্থ খবরটি পাওয়া গেল ,গুলি খেয়েছেন পুলিশের সবচেয়ে বড়কর্তা Inspector General of Police মিস্টার লোম্যান আর ঢাকার কুখ্যাত পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট মিস্টার হডসন্। ঘটনার পর দিন আমাদের তাঁতিবাজারের বাড়িটি সার্চ হল। এটা আমার মামা বাড়ি। তবে আমার মামা ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায় বিপ্লবী বি.ভি. দলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হলেও তাঁর কর্মস্থল তখন ছিল কলকাতায়—‘বেণু’ অফিস।……… আমি তখন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স তথা বি.ভি.-র পিতলের ব্যাচ কাঁধে লাগিয়ে খাকি প্যান্ট সার্ট ও মোজা জুতো পরে প্যারেড করতাম ঠিকই, কিন্তু সে তো প্রকাশ্য ব্যাপার। সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে পার্ক সার্কাস ময়দানের আয়োজিত বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স-দের আদর্শ সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টায় মেজর সত্যগুপ্ত মাঝে মাঝে ঢাকায় আগমন এবং বাংলা বাজার ন্যাশানাল কলেজের মাঠে বা উয়ারি রাজার বাগের মাঠে অনুষ্ঠিত mass parade –এ তাঁর অভিবাদন গ্রহণ—তাঁর Command–এ Parade করা—এও তো সবার দেখা ব্যাপার। ……… বস্তুতঃ মেজর সত্যগুপ্ত ছিলেন এক অফুরন্ত জীবন ও যৌবনের প্রতীক। তাঁর সঙ্গে একবার যোগাযোগ ঘটলে তার বসে থাকা যেতো না। চলতেই হতো’ সেই বহুশ্রুত – ‘চরৈবেতি’ ‘চরৈবেতি’।
২৯ শে আগাস্ট লোম্যান হত্যার দু’তিন দিন পর মেজর সত্যগুপ্ত প্রেপ্তার হলেন। কারণ মেজর সত্যগুপ্ত-এর অধস্তন অফিসার মেজর বিনয় বসু ছিলেন লোম্যান হত্যার নায়ক। মেডিকেল কলেজের ফাইনাল বছরের ছাত্র বি.ভি.-র প্যারেড করান সেই খবর জেনে গেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। বিনয় বসুও আর বসে থাকেননি। ১০০ দিনের মাথায় ৮ই ডিসেম্বর ১৯৩০ –এ কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ কর্ণেল সিম্পসন হত এবং দুইজন আই সিএস টয়নাম ও নেলসন আহত। সঙ্গী ক্যাপ্টেন দীনেশ গুপ্ত ও লেফটেনান্ট বাদল গুপ্ত। জেলে বসেই সত্য গুপ্ত সেই খবর পেয়েছিলেন। পরবর্তী কালে যখন তাঁদের নামকরণ হয়েছিল তখন সিনিয়রিটি দিক থেকে বিনয়-দীনেশ-বাদল অর্ডার বদলে সত্যগুপ্তই ঠিক করেছিলেন ‘বিনয়-বাদল-দীনেশ’ বাগ। সত্যদার যুক্তি ছিল বিনয়-এর ডাবল অ্যালশন জন্য প্রথম অর্ডার আর এবং দীনেশ-এর ফাঁসি হবার জন্য এদের কেউ ভুলবেন না, কিন্তু বাদল? অমন নিঃশব্দে যে কাজ হাসিল করে চ’লে যাওয়া—কেউ যাতে তাঁকে ভুলে না যায়, তাই মধ্যমণি হয়ে থাকল বাদল। মেজর সত্যগুপ্ত –এর চিন্তায় এবং চেতনায় ছিল কেউ যেন ওঁদেরকে ভুলে না যায়।
১৯৩০ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত থাকা রাজবন্দীদের হিজলি স্পেশাল জেলে আনা হয়েছিল। সেই সময় ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত-রায় ও মেজর সত্যগুপ্ত একই সাথে ছিলেন। সেই সময় বিপ্লবী অমলেন্দু ঘোষ মেজর সত্যগুপ্তের দেওয়া একটি চিঠি এলগিন রোডের বাড়িতে সুভাষচন্দ্রের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। চিঠির বিষয়বস্তু পরে সেটি ছিঁড়ে ফেলে বলেছিলেন আমি যেন তাঁকে জানাই তিনি চেষ্টা করছেন, তবে কিছু অসুবিধা আছে। এর পর কারামুক্তি, গান্ধী-সুভাষ বিরোধ, ফরোয়ার্ড ব্লক পর্ব এবং নেতাজীর দেশত্যাগ। এই সবকিছুর সাক্ষী ছিলেন মেজর সত্যগুপ্ত, অবশ্যই বি.ভি.-র শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মেজর সত্যগুপ্ত ছিলেন সুভাষচন্দ্র তথা নেতাজি প্রেমিক। আজীবন সংগ্রামী মেজর সত্যগুপ্ত ধীরে ধীরে নিজের জীবনকে নেতাজিময় করে তুলেছিলেন এবং মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি শুনতে পেয়েছেন নেতাজির পদধ্বনি।
১৯৬৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মাত্র ৬৪ বছরেই সুদূর বেরিলিতে মেজর সত্যগুপ্ত কর্মযোগী জীবনের যাত্রা স্তব্ধ হয়েছিল। কিন্তু নেতাজির ছায়াসঙ্গী হিসাবে তিনি চিরকাল সমাদৃত হয়ে এসেছেন। এবং শৌলমারী-র স্বামী সারদানন্দ রহস্য উদ্ঘাটন করে তিনি বলেছিলেন ‘তিনি নেতাজি’। অনেকে তাঁকে প্রশ্ন করেন তিনি কি করে বুঝলেন, তিনি জানান ‘ কুকুরের প্রভু’কে চিনতে ভুল হয়না…… কি নিষ্ঠা কি আস্থা তিনি দেখিয়েছিলেন প্রিয় নেতার প্রতি তা’ আজকের দিনে ভাবলে অলীকই মনে হয়।
সূত্র: ১) “বিপ্লবীদের স্মরণে ও সান্নিধ্যে” – শ্রী অমলেন্দু ঘোষ
২) “অগ্নিযুগ” – শ্রী শৈলেশ দে
৩) রাখাল বেণু সাহিত্য পত্রিকা – শ্রী সত্যেন চৌধুরী
৪) “সবার অলক্ষ্যে” – শ্রী ভূপেন্দ্র কিশোর রক্ষিত রায়
প্রত্নতত্ত্ববিদ, গবেষক ও সমাজকর্মী। । এবং বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সক্রিয় কর্মী।
Comment here