১.’শ্রদ্ধার ছাই,
হাত পেতে খাই’
শ্রদ্ধার সঙ্গে দেওয়া জিনিষ,অতি নগণ্য হলেও পরম গ্রহণীয়
২.’শোল বোয়ালের পোনা
যার যারটা,তার কাছে সোনা’
সব মায়ের কাছেই তার নিজের সন্তান শ্রেষ্ঠ
৩.’ভাঙা ঘরে জোছনার আলো / যে দিন যায়,সে দিনই ভালো
ভাঙা ঘরের ফাঁক দিয়ে যেদিন আলো ঢুকে ঘরকে আলোকিত করে,সেদিন আনন্দের,মঙ্গলের।যে দিন আলো আসে না,সেদিন অন্ধকার ত’ থাকবেই।অর্থাৎ দুঃখের সময়ে কষ্ট থাকবেই। কিন্তু তার মধ্যে যদি একটা দিন আনন্দে কাটে,তাইই ত ভাল।
৪.’ভাঙা মঙ্গলচণ্ডী, কুস্বপনের গোড়া’
দেবীমঙ্গলচণ্ডী মঙ্গলদায়িকা। সে কারণেই তাঁর মুর্তি গৃহে পূজিতা।কিন্তু,এ মূর্তি ভেঙে গেলে,তা নানা অমঙ্গলের সূভনা করে। অর্থাৎ, ভাল লোকের প্রকৃতি মন্দ হ’য়ে গেলে সে নানা অনর্থ ঘটায়।
৫.’সরিষা ব’নে কলাই মুগ
বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক’
অর্থাৎ, একই জমিতে সরিষা আর মুগ বা সরিষা আর কলাই চাষ করলে,দুটি ফসলই ভাল পাওয়া যায়।
৬.’বুধ রাজা,শুক্র মন্ত্রী যদি হয়,
শস্য হবে ক্ষেত্রে পুরা, নাহিকো সংশয়’।
যে বছর পঞ্জিকাতে বুধ রাজা আর শুক্র তার মন্ত্রী হিসেবে বর্ণিত থাকে,সে বছর শস্য নিঃসংশয়ে ভাল হয়
৭. ‘যদি হবে খাঁটি
তবে হও মাটি’
যদি ভাল মানুষ হ’তে ইচ্ছে কর,তবে মাটির মত সহিষ্ণু হও।মাটি যেমন জীবকূলের সকল উপদ্রব নীরবে সহ্য করে, তেমনি সব উচ্চাবচ স’য়েও টিকে থাকার মত ক্ষমতা নিজের ভিতরে তৈরী করা প্রয়োজন।
৮.’হাটে কলা, নৈবেদ্যায় নমঃ’
প্রয়োজনীয় জিনিষের অভাবে কোনোমতে কাজ সম্পন্ন করা।
৯. ‘হাতি বুড়ো হলেও দাঁত দিয়ে মাটি খোঁড়া ছাড়ে না’
সদ্বংশজাত মানুষ অবস্থা বিপর্যয়েও চরিত্র হারায় না।
১০. ‘যদি কামড়াতে না পার,তবে দাঁত দেখিও না।’
বৃথা ভয় দেখিয়ে হাস্যাস্পদ হয়ো না।
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here