১. আল্লা দিলে ফুরোয় না
বান্দা দিলে কুলোয় না
ভগবানের দান অফুরান।সব দিক দিয়েই সে দান অঢেল।কিন্তু মানুষের দেওয়া সীমিত। সে দিয়েও কারও অভাব কুলোতে পারে না।
২.ভালবাসার নাইকো ভার
সত্যিকারের ভালবাসলে, তার জন্য কোনো ভারী কাজই ভার লাগে না
৩. ‘হায়াত লেখা কপালে
মওত লেখা পায়ে
যার যেখানে মরণ আছে,
পায়ে হেঁটে যায়’
মানুষের পরমায়ু তার কপালে আর মৃত্যু থাকে পায়ে। যার যেখানে মৃত্যু নির্দিষ্ট, সেখানে সে স্বেচ্ছায় পায়ে হেঁটেই যাবে
৪. ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্য রাজার পূণ্য দেশ’
মাঘ মাসের শেষে বৃষ্টিতে ফলন ভাল হয়,রাজার গৌরব বাড়ে
৫. ‘অরুচির অম্বল শীতের কম্বল
বর্ষার ছাতি,ভটচাযের পুঁথি’
অতি প্রয়োজনীয় জিনিষ
৬. ‘পাঁচে আনে পাঁচে খায়
লাভ হতে গেরস্ত বজায়’
একান্নবর্তী পরিবারে পাঁচজনে মিলেমিশে রোজগার করে, মিলেমিশে খায়।সংসারের আর্থিক অবস্থাও এতে সুরক্ষিত থাকে
৭.’দাতার নারকেল,বখিলের বাঁশ
কমে না, বাড়ে না বারোমাস’
নারকেল যত পাড়বে,তত বাড়বে।বাঁশ যত না কাটবে তত বাড়বে
৮.সাজা ঘর পাতা চুলো
সবকিছু সহজে পাওয়া
৯. ‘অরাঁধুনির হাতে পড়ে রুইমাছ কাঁদে
না জানি রাঁধুনি আমায় কেমন ক’রে রাঁধে’
উপযুক্ত ব্যবহারকারীর হাতে না পড়লে দামী জিনিষের অপব্যবহারই ঘটে
১০. ‘সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা
আমার খোঁজ পড়ে কেবল টানাটানির বেলা’
যাকে অন্য সময় অবহেলা করা হয়, অসময়ে তারই দ্বারস্থ হতে হয়
১১. মা’র মায়া,বটের ছায়া
মায়ের মায়াভরা স্নেহ আর বটের ছায়া – পৃথিবীতে এই দুই কেবল একে অন্যের তুলনা
১২. ‘উঠোন ভরা লাউ শসা
ঘরে তার লক্ষ্মীর দশা’
ঘরের উঠোনে প্রয়োজনীয় সব্জির চাষ কখনও অভাবকে ঘেঁষতে দেয় না।ঘরের লক্ষ্মীশ্রী বজায় থাকে।
১৩. ‘বামুন,বাদল,বান
দখিণা পেলেই যান’
ব্রাক্ষ্মণ যেমন দক্ষিণা পেলেই বিদায় হন, তেমনি বর্ষা, বা বৃষ্টিজনিত বাণের অবসান হয় দখিণা বাতাস বইলেই
১৪. সাত গুষ্টির ছাঁদা মালা
যার সাথে খুঁজেও কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায় না।
১৫.’যাবো রে পরের ঘর
ওরে মন তুই সবুর কর
যাবো রে বাপের ঘর
তুলে খাবো দুধের সর
শ্বশুরবাড়ীতে মেয়েদের স্বাধীনতা থাকে না। সংযত হয়ে,প্রতিহত হয়ে চলতে হয়।কিন্তু বাপের বাড়ীতে সে যা ইচ্ছে করতে পারে,যা মন চায় নিঃসঙ্কোচে খেতে পারে
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here