আঙিনা

‘ইংরেজি টিংরেজি কিছু’

(আগের পর্বের লিঙ্ক)

গত পর্বে যেমনটি বলছিলাম, smart শব্দটার থেকে মানবমন কালক্রমে কষ্টের অংশটা বর্জন করে শুধু “ধারালো” অংশটুকুকেই রেখে দিলো। ফলতঃ smart মানে হয়ে দাঁড়াল আমরা এখন যা বুঝি ঠিক তাই।

এবার চলুন amelioration আর pejoration কয়েকটা পর্বের জন্য তুলে রেখে আবার আপনার বাড়িতে যাই। শুনি আপনি কী বলছেন, ঠিক বলছেন কিনা, না বলে থাকলে কী বলা উচিত ছিল, ইত্যাদি। আপনার রাঁধুনি গাঁয়ের দিক থেকে এসেছে। পটাপট আপনাদের কথোপকথন শুনে শুনে নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ শিখে নিচ্ছে। বেশ বুদ্ধিমতী মেয়ে। প্রথম কিনা, তাই মাঝেমধ্যেই ভুল প্রয়োগ ঘটাচ্ছে সেসব শব্দের আর আপনারা তাতে বিনোদন লাভ করছেন। এই ত আবার হাসছেন আপনারা সব্বাই! আপনারা বাড়ির লোকেরা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে খুব একচোট হেসে নিলেন। ও বেচারি হকচকিয়ে গেল। ঘটনাটা হল, ও দুপুর বারোটায় টেবল সাজিয়ে আপনাদেরকে বলেছিল “ডিনার করে নিন, তবে!” মজাটা কোথায় জানেন, ও কিছুই না জেনেও কিচ্ছু ভুল বলেনি। আপনারা হেসেই ভুলটা করলেন বরং। Dinner কী? Dinner হল দিনের প্রধান meal টি। এবং এর সঙ্গে একটা আনুষ্ঠানিকতার অনুষঙ্গ রয়েছে। এখন, দিনের main meal টি একজন কখন গ্রহণ করবে তা কে ঠিক করে দেবে, মশাই? হ্যাঁ, যা বুঝছেন ঠিক তাই। আপনি যদি খুব গুছিয়ে, চর্ব্যচোষ্য লেহ্য পেয় সব টেবলে সাজিয়ে নিয়ে নিজের লোক বা অতিথিদের সঙ্গে দিনের প্রধান খাওয়াটি খেতে বসেন, তবে ওটি আপনার dinner. আপনি dinner করতেই বসেছেন। রাত ন’টা হলেও dinner, দুপুর একটা, দুটো, তিনটে, চারটে ইত্যাদি হলেও dinner. তদুপরি, ভেবে দেখুন, আমরা বাঙালিরা সাধারণতঃ মূল খাওয়াটা দুপুরেই খেয়ে নিই। সেদিক থেকেও মেয়েটি একদম ঠিক বলেছে। কাজেই, হাসি বন্ধ করুন আর dictionary টা একটু দেখে নিন।

তবে আমরা বাড়িতে সাধারণতঃ কী কী খাই? প্রথমে শুরু করি প্রাতরাশ বা কল্যবর্ত দিয়ে। অর্থাৎ breakfast. তারপর আসে মধ্যাহ্নভোজন বা lunch. এরপর সান্ধ্য স্বল্পাহার। Evening bite/snack. এরপর নৈশভোজন বা supper. খুব formal খাদ্যগ্রহণ পর্ব না হলে, এই যেমন আপনারা সবাই মিলে মিশে টেবল সাজিয়ে পঞ্চব্যঞ্জন নিয়ে বসেছেন তেমনটি না হলে, আমি অন্ততঃ dinner শব্দটিকে এড়িয়েই যেতে বলব।

রাগ করবেন না। এই করতেই ত এসেছি। এখনও বেশ কিছুক্ষণ থাকব। হ্যাঁ, সাড়ে চারটে বাজল। চা খাওয়ার সময় হয়েছে আপনাদের। আপনারা যে যার হাতে চা নিয়ে চুমুক দেয়া শুরু করে দিয়েছেন আর আপনাদের রাঁধুনী মেয়েটি মেঝেয় বসে তার দীর্ঘদিনের অভ্যাসমতো চা’টা cup থেকে ঢেলে নিয়েছে। কিসে? আপনি বললেন ওকে, “plate এ ঢেলে চা খাওয়ার অভ্যেসটা এবার ত্যাগ কর। একদম ঠিক শিক্ষা। ঠিক যেমন প্রথম চুমুকটা দেয়ার সময় আপনি জিভ আর ঠোঁট দিয়ে সুরররউউউত করে বিশ্রী একটা শব্দ করলেন, ওর ঐ স্বভাবটি সেটির মতোই বর্জনীয়। কিন্তু, ও কিন্তু plate এ চা ঢালেনি। ঢেলেছে saucer এ। cup এর নীচে saucer থাকে। একটা ছোট dish যা cup কে ধারণ করার পাশাপাশি সুনিশ্চিত করে যে, চায়ের ফোঁটা কোনো অবাঞ্ছিত জায়গায় পড়বে না। Plate আয়তনে অনেক বড় এবং সাধারণতঃ কানা উঁচু নয়। Flat। ওতে ভাত রুটি লুচি ইত্যাদি খান আপনারা। অতএব কাপপ্লেট বলার দীর্ঘ লালিত অভ্যেস ত্যাগ করুন। বলুন cup and saucer.

এরকম আরও বহু আছে। সেগুলো point out করার জন্যই “কাঞ্জিক” এর এই উদ্যোগ। সামনের পর্বে খাওয়া দাওয়া নিয়েই আলোচনা চালিয়ে যাব। পড়বেন। আর, “কাঞ্জিক” এর বাকিটুকুও পড়বেন, সবটা পড়বেন। খুব যত্ন নিয়ে এখানে লেখাগুলো যোগাড় এবং পরিবেশন করা হয়।
এবারের মতো এখানেই বিদায়।

Comments (1)

  1. […] (আগের পর্বের লিঙ্ক) […]

Comment here