— পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়
ভণ্ড বুদ্ধিজীবী — বগা পণ্ডিত !
সর্বদা হানে ধ্বংসের ইঙ্গিত।
কুমিরের দাঁত থেকে পোকা খুঁটে খায়
অলিখিত রফা ক’রে বাঁচার উপায়।
প্যালেস্টাইন গাজা সিরিয়া ইরাক
দুখে বুক চাপড়ায় — তীর্থের কাক।
বাংলাদেশের বুকে যে হিন্দুমেধ
যজ্ঞ চলছে, দুটি জাতির প্রভেদ
ভয়াল অত্যাচারে ধ্বংসে খুনে,
মাংস পোড়ার ঘ্রাণ সেই আগুনে।
ভাঙে পুরাকীর্তি ও কত মন্দির
ভয়ার্ত চোখ যেন তারার তিমির।
অগণিত ধর্ষণ, রাহাজানি, লুঠ
দেখেও দেখেনা ওরা, ধরায় চুরুট।
দানবের চিৎকারে — উন্মাদ শোক !
মাথায় রক্ত ওঠে, শুষে নেয় জোঁক।
রোহিঙ্গা নিয়ে নাকি কান্নার সুর
চীনে লাল সন্ত্রাসে মরে উইঘুর —
সেখানে কুলুপ আঁটা মুখের ওপর
ট্যাক্সি গাঁজায় টানে ভুলে যাওয়া ঘোর।
বিকেলে কফি হাউস, সন্ধ্যেবেলায়
ময়দানে বিড়ি টেনে গিটার বাজায়।
যৌনচর্চা ক’রে আঁকে খাসা ছবি
বদরিকা পাখি দেখে বেড়ালটা লোভী।
(লেখক পরিচিতি – মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক। জাতীয়তাবাদী কবি ও প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত গ্রন্থ : রাত বারোটার সূর্য (কাব্যগ্রন্থ), প্রকাশ্য আড়াল ( কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ ), লিমেরিক ৫০ (ননসেন্স ভার্স), এবং ‘বাঙালি হিন্দুর ধূসর ভবিষ্যৎ’ (নিবন্ধগ্রন্থ)।)
Comment here