১) ’লোহা পাথরে যুদ্ধ করে /শো লা দিদি পুড়ে মরে’
লোহা এবং চকমকি পাথরের যুদ্ধ হয় তাতে সোলা পুড়ে যায়। বলবানে বলবানে যুদ্ধ হলে মাঝে যে দুর্বল থাকে সে ম’রে যায়।
২) শমন দমন রাবণ রাজা, রাবণ দমন রাম।
লঙ্কেশ্বর রাবণ যমকেও দমন করেছিলেন। আবার রামচন্দ্র সেই শমন দমনকারী রাবনণকে দমন করেছিলেন।অর্থাৎ, যে যতই প্রবল হোক তারও দমন কর্তা আছে।
৩) শরীরের নাম মহাশয়, যা সহাবে তাই সয়।
এই দেহের নাম মহাশয়। মহাশয় লোক যেমন সবই সহ্য করতে পারেন তেমনি এই দেহকে যা সহ্য করানো হবে, তাই স’য়ে নেবে। একে বিলাসী করে রাখলে বিলাসী হবে কষ্ট সহিষ্ণু করালে কষ্ট সহ্য করতে শিখবে।
৪) ‘হরির খুড়ো মাধাই দাস’
নিঃসম্পর্কীয় অনধিকার চর্চায় রত লোককে অবজ্ঞা করে বলা হয়।
৫) ‘ চৈতে তে থরথরো
বৈশাখীতে ঝড় পাথর,
জ্যৈষ্ঠেতে তারা ফোটে
তবে জানবে বর্ষা বটে। ‘
যদি চৈত্র মাসে শীত, বৈশাখের শিলাবৃষ্টি জ্যৈষ্ঠ্যে আকাশ পরিস্কার থাকে তবে সে বছর ভালো বর্ষা হয়।
৬) ‘পট্টবস্ত্রে গুঞ্জ ফল মূল্য নাহি হয়/
ছিন্ন বস্ত্রে মতির মূল্য নাহি ক্ষয়’।
গুঞ্জ ফল অর্থাৎ কুঁচ যদি মহামূল্য পট্টবস্ত্রের মধ্যেও থাকে তবুও তা দামী হয় না। আর মতি যদি ছেঁড়া কাপড়েও থাকে তবুও তার মূল্য কমে না গুণহীন ব্যক্তি দামি বসনে সজ্জিত হলেও সম্মান পায় না আর বিদ্বান ব্যক্তি ছিন্ন বস্ত্র পরে থাকলেও সমাদর পায়।
৭)’ ধীরে পানি পাথর কাটে ‘।
উপর থেকে বিন্দু বিন্দু জল পড়তে থাকলে তাতে অতি কঠিন পাথরও কেটে যায় এইভাবে ধীরে ধীরে সক্রিয় থাকলে অতি দুষ্কর কার্যও সিদ্ধ হয়।
৮) ‘হাটে গিয়েছিল কার মা যে দেখেছে বাঘের পা’
দ্রুত কথার যাথার্থ্য পরীক্ষা না করে তাতে বিশ্বাস স্থাপন।
৯) ‘হাতি আড় হলে চামচিকেও লাথি মারে।
হাতি পাঁকে আড় হ’য়ে প’বড়ে গেলে ক্ষুদ্র চামচিকি এসেও তাকে লাথি মেরে যায়। প্রবল লোক বিপদে পড়লে অতি দুর্বলও তাকে অপমান করে।
১০) ‘আক্কেলে সকল বন্দি জলে বন্দি মাছ স্ত্রীর কাছে পুরুষবন্দি ছালে বন্দী গাছ’
প্রকৃতপক্ষে আমরা কেউই স্বাধীন নই
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here