১. অবোলা চলে বড়
অফলা ফলে বড়
(কথা, না বলে কাজ করলে সে কাজ অনেক এগিয়ে যায়,আর যে গাছে সচরাচর ফল হয় না, সে গাছে ফল ধরলে প্রচুর ফলন হয়)
২.দুখের কপালে সুখ নাই,
বিয়েবাড়িতেও ভাত নাই
(কপাল খারাপ যার,তার বিয়েবাড়িতেও খাবার জোটে না)
৩. ন্যাকা সেজে বুঁচকি বাঁধা
(বোকা সেজে কাজ হাসিল করা)
৪.ভাঙা কপাল জোড়া লাগা
(দুঃসময় কেটে গিয়ে সুসময় ফিরে আসা)
৫. মা বেচে খায় কলমী শাগ
বেটার মাথায় ফরমেশে পাগ
(গরীবের আমিরী চাল)
৬.একবরে বৌ
চিংড়িমাছের খোসা
দোজবরে বৌ করেন গোঁসা
তেজবরে বৌ সঙ্গে বসে খায়
চারবরে বৌ কাঁধে চ’ড়ে যায়
(প্রথম পক্ষের বৌ চিংড়ি মাছের খোসার মত অবহেলার।দ্বিতীয় পক্ষের বৌ কখন গোঁসা করেন, সে খেয়াল রাখতে হয়।তৃতীয় পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে খেতে হয় আর চতুর্থ ইনি, তিনি অয়ায়ে হেঁটে চলার কষ্টটুকুও করেন না, তাঁকে কাঁধে নিয়ে চলতে হয়)
৭.নিত নেই দেয় কে
নিত রুগীকে দেখে কে?
(যার চিরকালই অভাব,তাকে কখনও দিয়ে পেরে ওঠা যায় না,আর যে চিররোগী তাকে সেবা করে যাওয়াও সম্ভব হয় না।)
৮.যতনে রতন মেলে
(চেষ্টায় ভাল ফল পাওয়া যায়)
৯.দিন থাকতে ধায়,
দেশের নাগাল পায়
(সময়ের কাজ সময়ে করা)
১০.রঙ থাকলে রঙে কড়ি
রঙ না থাকলে গড়াগড়ি
রূপ থাকলেই আদর
১১.রসুন বলে কাঁচকলা ভাই
তোমার বড় খোসা
(পরের দোষ দেখা)
১২.ঊন বর্ষার দুনো শীত
(বর্ষা কম শীত বেশি)
১৩. সাঁতার দিয়ে সিন্ধু পার
( ক্ষুদ্র উপায়ে মহৎ কাজ)
১৪. একবারের রোগী,
আরবারের রোজা
(একবার ঠকলে পরেরবার সাবধান হওয়া)
১৫.ভাই এর ভাত, ভাজের হাত
(ভাইয়ের সংসারে ভাজ কর্ত্রী)
![](http://kanjik.net/wp-content/uploads/2020/09/Imarun-Nahar.jpg)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here