১। যার হাতে খাই নি,সে বড় রাঁধুনি
যার সাথে চলি নি, সে বড় গিন্নি
( অজানা, অচেনা যে কোনো কিছুকেই স্রেষ্ঠ মনে করা)
২। কোথাকার কে
দুটো আমড়াভাতে দে
(অতি দুর সম্পর্কের কেউ, যার প্রতি আত্মীয়ের সম্মানই আর থাকে না)
৩।বন্ধ্যা নারীর অন্ধ পুত্র
চাঁদ দেখতে যায়
(অতি অবাস্তব কল্পনা)
৪। অভদ্রা বর্ষাকাল,হরিণী চাটে বাঘের গাল
ওরে হরিণী তোরে কই,সময় ফেরে সবই সই
সময় খারাপ হলে ব্যাঙেও লাথি মারে
৫। দিন থাকতে ধায়,দেশের নাগাল পাই
(সময়ের কাজ সময়ে করা)
৬।লঙ্কায় রাবণ মোলো
বেহুলা কেঁদে রাঁঢ় হ’লো
(পারষ্পরিক সম্পর্কহীন অসম্ভব কিছু)
৭। বারো বাড়ি তেরো খামার
যে বাড়ি যায়, সে বাড়ি আমার
(যখন যেখানে যায়,সেটাই নিজের মনে করে,অর্থাৎ নীতিজ্ঞানশূন্য মানুষ)
৮।ভালো লোকের কিল চুরি
(ভাল লোক অপমানিত হয়েও লজ্জায় উচ্চারণ করতে পারে না সে কথা)
৯। কাঁচা গাঁথুনি
দুনো খাটুনি
(কাঁচা কাজের, দ্বিগুণ পরিশ্রম)
১০। কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ট্যাঁশট্যাঁশ
(ছোট থাকতে থাকতে সন্তানকে ঠিকভাবে গড়েপিঠে নিতে না পারলে, বড় হয়ে গেলে বাঁশের মতই শক্ত হয়ে যায়,তাকে আর নোয়ানো যায় না)
গৃহবধূ। কৃষিভিত্তিক জীবনে লেখালেখি তাঁর দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা সহস্রাধিক প্রবাদের সযতন সংগ্রাহক।
Comment here